Advertisement
৩০ অক্টোবর ২০২৪
নেই জেসিআই-এর অফিস
Jute Production

পাটে ফড়ে-রাজ চলছেই হাওড়ায়

কৃষি দফতর সূত্রের খবর, বর্তমানে পাটের ন্যূনতম সহায়ক মূল্য যাচ্ছে কুইন্টালপ্রতি ৫৩০০ টাকা। এই জেলায় বছরে গড়ে তিন হাজার হেক্টর জমিতে পাট চাষ হয়।

—প্রতীকী চিত্র।

—প্রতীকী চিত্র।

নিজস্ব সংবাদদাতা
উলুবেড়িয়া শেষ আপডেট: ৩০ জুলাই ২০২৪ ০৯:৪৭
Share: Save:

ন্যূনতম সহায়ক মূল্যে সরকারের কাছে চাষিদের পাট বিক্রি করার ব্যবস্থা রয়েছে। কিন্তু হাওড়া জেলায় তা থেকে গিয়েছে খাতায়-কলমে। কারণ, এখানে এতদিনেও জেসিআই-এর (জুট কর্পোরেশন অব ইন্ডিয়া) কোনও অফিস গড়ে ওঠেনি। চাষিরা পাট বেচবেন কোথায়? ফলে, এখানেও দাপিয়ে বেড়াচ্ছে ফড়েরা।

কৃষি দফতর সূত্রের খবর, বর্তমানে পাটের ন্যূনতম সহায়ক মূল্য যাচ্ছে কুইন্টালপ্রতি ৫৩০০ টাকা। এই জেলায় বছরে গড়ে তিন হাজার হেক্টর জমিতে পাট চাষ হয়। তার মধ্যে বেশিরভাগটাই উদয়নারায়ণপুর, আমতা ১ এবং আমতা ২ ব্লকে। পাট ইতিমধ্যে উঠতে শুরু করেছে। কিন্তু জেলায় নুন্যতম সহায়ক মূল্যে সরকারের তরফে পাট কেনার ব্যবস্থা না থাকায় চাষিরা ফড়েদের কাছে তার থেকে কম দামে পাট বিক্রি করতে বাধ্য হচ্ছেন বলে অভিযোগ।

সমস্যাটি ঠিক কোথায়?

জেলা কৃষি দফতর সূত্রের খবর, ন্যূনতম সহায়ক মূল্যে চাষিদের কাছ থেকে পাট কেনে জেসিআই। কিন্তু হাওড়ায় তাদের কোনও অফিস নেই। হুগলির চাঁপাডাঙায় অফিস থাকলেও হাওঢ়ার চাষিদের পক্ষে এত দূরে
গিয়ে পাট বিক্রি করা লাভজনক নয়। ফলে, তাঁরা ফড়েদের কাছেই পাট বিক্রি করে দেন।

উদয়নারায়ণপুরের বিধায়ক সমীর পাঁজা বলেন, ‘‘আমি জেসিআই-এর সঙ্গে কথা বলব। যাতে তারা হাওড়ার চাষিদের কাছ থেকে পাট কেনার জন্য সহজ পদ্ধতি চালু করে।’’

এ নিয়ে সোমবার ফরওয়ার্ড ব্লকের কৃষক সংগঠন ‘সারা ভারত অগ্রগামী কিসানসভা’র পক্ষ থেকে কলকাতায় জেসিআই-এর পূর্বাঞ্চলীয় সদর দফতরে স্মারকলিপি
দেওয়া হয়। প্রতিনিধি দলে ছিলেন ফরিদ মোল্লা, শুকদেব দে প্রমুখ
নেতা। ফরিদ বলেন, ‘‘শুধু হাওড়া জেলা নয়, রাজ্য জুড়েই ন্যূনতম সহায়ক মূল্যে পাট কেনার ক্ষেত্রে চাষিদের প্রতি বঞ্চনা করছে জেসিআই। রাজ্যে তাদের মাত্র ৬৪টি স্থানীয় অফিস আছে। সেখান থেকে অল্প কিছু পাট তারা কেনে। বাকি এলাকায় ফড়েরা দাপিয়ে বেড়ায়। আমরা দাবি করেছি পাট কেনার পরিকাঠামো আরও বাড়াতে হবে। এ ছাড়া ন্যূনতম সহায়ক মূল্য বাড়িয়ে ৯০০০ টাকা করতে হবে।’’
জেসিআই তাদের দাবিগুলি বিবেচনা করে দেখার আশ্বাস দিয়েছে বলে ফরিদ দাবি করেন।

জেসিআই-এর এক কর্তা জানান, পরিকাঠামোর দিকটি তারা দেখবে। পাটের ন্যূনতম সহায়ক মূল্য বাড়ানো কেন্দ্র ও রাজ্য সরকার যৌথ ভাবে নেয়। চাষিদের দাবির কথা তারা কেন্দ্র ও রাজ্য সরকারের কাছে পৌঁছে দেবে।

অন্য বিষয়গুলি:

Uluberia
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE