এমন বাড়ির সদস্যর নাম আবাস প্লাসের তালিকায় নেই। শ্যামপুরের বাছরি পঞ্চায়েত এলাকায়। নিজস্ব চিত্র
আবাস প্লাস যোজনায় তৃণমূল নেতাদের পছন্দের লোকের নাম তালিকায় থেকে যাচ্ছে বলে সমাজমাধ্যমে অভিযোগ তুলতে শুরু করলেন বিরোধীরা। তাঁদের অভিযোগ, প্রকৃত গরিব মানুষ বঞ্চিতই থেকে যাচ্ছেন। বেশ কিছু গরিব মানুষের ঘরের ছবি তুলে ধরে এ নিয়ে সরব হয়েছেন শ্যামপুরের কংগ্রেস নেতা আতিয়ার রহমান। এই পোস্ট ভাইরাল হয়েছে।
বিরোধীদের অভিযোগ, ওই প্রকল্পে ঘর পাইয়ে দেওয়ার জন্য ‘কাটমানি খাচ্ছেন’ শাসক দলের লোকেরা। নিজেদের লোকেদের নাম তাঁরা তালিকায় ঢুকিয়ে দিয়েছিলেন। সংশোধিত তালিকাতেও ওই সব অপেক্ষাকৃত ‘বড়লোক’দের নাম থেকে যাচ্ছে। সেই কারণে, তালিকা বাতিলের দাবিও উঠেছে। আতিয়ার বলেন, ‘‘২০১৮ সালে তৃণমূল গোপনে প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনায় নিজেদের নেতা-কর্মীদের নাম তালিকায় ঢুকেয়েছিল। এমন বহু নাম তালিকায় রেখে দেওয়া হচ্ছে। যাঁদের প্রকৃতই ঘরের প্রয়োজন, তাঁরা পাচ্ছেন না। এই তালিকা বাতিল করে প্রকৃত গরিব মানুষের নাম ঢোকাতে হবে।’’
প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, ২০১১ সালের অর্থনৈতিক সমীক্ষায় গ্রামের যে সব গরিব মানুষের নাম ছিল, তাঁদের প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনায় বাড়ি তৈরির জন্য ১ লক্ষ ২০ হাজার টাকা করে দেওয়া হয়। এ রাজ্যে অবশ্য প্রকল্পটি ‘বাংলা আবাস যোজনা’ নামে চালু ছিল। পরে দেখা যায়, বহু গরিব গৃহহীন মানুষের নাম ওই তালিকায় ছিল না। ফলে, তাঁরা ওই প্রকল্পের সুবিধা পাননি। তাঁদের জন্য ২০১৮ সালের শেষের দিকে কেন্দ্র ফের একটি সমীক্ষা করা হয়। সেই তালিকার ভিত্তিতে গৃহহীনদের বাড়ি তৈরির জন্য ‘আবাস প্লাস’ (প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনা প্রকল্পের পরবর্তী সংযোজন) প্রকল্পটি হাতে নেয় কেন্দ্র। এ ক্ষেত্রে বাড়ি পাওয়ার জন্য নতুন বেশ কিছু শর্ত বেঁধে দেওয়া হয়েছে। সমীক্ষা শেষ হওয়ার পরেই আসল তালিকা প্রকাশ হবে।
শ্যামপুরের বিজেপি নেতা কৌশিক চক্রবর্তী বলেন, ‘‘প্রকৃত গৃহহীনদের ঘর দেওয়ার জন্য প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এই প্রকল্প করেছিলেন। কিন্তু, বাস্তবে দেখা গেল, তৃণমূল নেতারা কাটমানি খাওয়ার জন্য গরিব মানুষের বদলে বড়লোকদের ঘর পাইয়ে দিচ্ছেন। এর বিরুদ্ধে এবং যাতে প্রকৃত গরিব মানুষ ঘর পান, তার জন্য আমরা আন্দোলন করব।’’
বিরোধীদের অভিযোগ অস্বীকার করেছেন শ্যামপুর-২ পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি জুলফিকার মোল্লা। তিনি বলেন, ‘‘২০১৮ সালে এই তালিকা তৈরি হয়েছিল। এটা চূড়ান্ত তালিকা নয়। সমীক্ষা চলছে। তারপর চূড়ান্ত তালিকা তৈরি হবে। যদি কোনও গরিব মানুষ তালিকা থেকে বাদ পড়ে যান, তার জন্য চিন্তাভাবনা করা হবে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy