জেলাশাসকের দফতরে রচনা।
আর জি কর-কাণ্ডে বিচারের দাবি উঠছে সর্বত্র। নাগরিক আন্দোলন জোরদার হচ্ছে। তিনি প্রতিবাদীদের সঙ্গে আছেন বলে জানালেন হুগলির সাংসদ রচনা বন্দ্যোপাধ্যায়। একইসঙ্গে অবশ্য তাঁর দাবি, প্রতিবাদীদের মিছিলে ৫০০ জনের মধ্যে ৩০ জন বিজেপি-সিপিএমের লোক ঢুকে পড়ছেন।
বৃহস্পতিবার দুপুরে চুঁচুড়ায় হুগলির জেলাশাসকের সঙ্গে তাঁর সাংসদ তহবিলের খরচ সংক্রান্ত বৈঠক করেন রচনা। সেখান থেকে বেরিয়ে সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে ওই দাবি করেন রচনা। তিনি বলেন, ‘‘মিছিল থেকে বিরোধীরা চিৎকার করছেন, আলতু-ফালতু কথা বলছেন! তাঁদের কথা আমি সমর্থন করি না।’’
মুখ্যমন্ত্রীর পদত্যাগ চাওয়া নিয়েও বিরোধীদের একহাত নেন রচনা। তিনি বলেন, ‘‘আর জি কর-কাণ্ডে মুখ্যমন্ত্রীই সবার প্রথমে দোষীর ফাঁসি চেয়েছেন। তিনি এ রাজ্যের মহিলাদের জন্য যা করেছেন, অনস্বীকার্য।’’ এরপরেই বিরোধীদের ইঙ্গিত করে তাঁর সংযোজন, ‘‘সেই মুখ্যমন্ত্রীকে যাঁরা কুমন্তব্য করছেন, তাঁরা ঠিক করছেন না।" এ দিন সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায় ও ঋতুপর্ণা সেনগুপ্তের পাশে দাঁড়িয়ে তিনি বলেন, ‘‘কুমন্তব্যে সৌরভের নাম কেন আসছে আমি জানি না। সবশেষে আমরা তো মানুষ! সৌরভ তিলোত্তমার জন্য আওয়াজ তুলছেন। আমরাও তুলছি। সবাই তিলোত্তমার পাশে আছি। আমরা চাই সুবিচার হোক।’’
বিজেপির রাজ্য নেতা স্বপন পাল বলেন, ‘‘দলমত নির্বিশেষে মানুষ পথে নামছেন। সাংসদ এত লোকের মাঝে আমাদের কী করে খুঁজে পাচ্ছেন, জানি না। সবাই বিচার চান। সবাই দোষীদের ফাঁসি চান। একই সঙ্গে সবাই মুখ্যমন্ত্রীর পদত্যাগও চান।’’ সিপিএমের হুগলি এরিয়া কমিটির সম্পাদক সমীর মজুমদার বলেন, "মুখ্যমন্ত্রী নিজেই পথে নেমেছেন। অর্থাৎ, তিনি নিজেই নিজের বিরুদ্ধে পথে নেমেছেন। সন্দীপ ঘোষকে বাঁচাতে চেয়েছেন। তথ্যপ্রমাণ লোপাট করতে চেয়েছেন। মানুষ বুঝতে পেরেছে। তাই ভিড়ে লুকিয়ে নয়, সকলেই মুখ্যমন্ত্রীর পদত্যাগ চাইছেন।"
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy