বাসের ধাক্কায় দুমড়েমুচড়ে গিয়েছে ট্রাকটি। শুক্রবার ভোরে। —নিজস্ব চিত্র।
চালক ঘুমিয়ে পড়েছিলেন। আর তার জেরেই হুগলি জেলার চণ্ডীতলায় রাস্তার ধারে দাঁড়িয়ে থাকা ট্রাকে ধাক্কা মারল যাত্রিবাহী বাস। শুক্রবার ভোরে চণ্ডীতলার কলাছড়ার কাছে ১৪ নম্বর গেট এলাকায় দুর্ঘটনাটি ঘটে। ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় বাসচালকের। তা ছাড়াও আহত হন বাসের পাঁচ জন যাত্রী। আহতদের উদ্ধার করে চণ্ডীতলা গ্রামীণ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।
প্রাথমিক ভাবে জানা গিয়েছে, দক্ষিণ ২৪ পরগনার মৈপীঠ এলাকা থেকে আসছিল বাসটি। বাসে ছিলেন দু’টি সরকারি স্কুলের পড়ুয়া এবং শিক্ষকেরা। বাসটি হুগলির ডানকুনি হয়ে চাঁপাডাঙার দিকে যাচ্ছিল। বাসের খালাসির দাবি, কলাছড়ার কাছে চালক হঠাৎই ঘুমিয়ে পড়েন। বাসটি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে প্রথমে অহল্যাবাই রোডের ধারে দাঁড়িয়ে থাকা একটি ট্রাকে ধাক্কা মারে। তার পর নয়ানজুলিতে নেমে যায়। খবর দেওয়া হয় পুলিশকে। প্রথমে স্থানীয়েরাই আহত যাত্রীদের উদ্ধার করতে হাত লাগান। চালক রাজু হালদারকে মৃত অবস্থায় উদ্ধার করা হয়।
হুগলি গ্রামীণ পুলিশের এসডিপিও তমাল সরকার এই ঘটনা প্রসঙ্গে বলেন, “দাঁড়িয়ে থাকা ট্রাকে কাচের বোতল ছিল। দুর্ঘটনার জেরে কাচের বোতল ছিটকে কয়েক জন আহত হন। তবে তাঁদের প্রাথমিক চিকিৎসার পর ছেড়ে দেওয়া হয়।” পুলিশের তরফে জানানো হয়েছে, দুর্ঘটনার কারণ খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
বাসের আহত যাত্রীদের তরফে জানা গিয়েছে, একটি কোচিং স্কুলের আয়োজনে পড়ুয়াদের নিয়ে পুরুলিয়ার অযোধ্যা পাহাড়়ের উদ্দেশে যাচ্ছিল বাসটি। মোট দু’টি বাসে ছিলেন ১০০ জন যাত্রী। একটি বাস এগিয়ে গিয়ে আরামবাগ পৌঁছে গিয়েছিল। তবে দ্বিতীয় বাসটি দুর্ঘটনার কবলে পড়েছে খবর পাওয়ার পরেই প্রথম বাসটি চণ্ডীতলায় ফিরে আসে। পরে দু’টি বাসই পড়ুয়াদের নিয়ে মৈপীঠে ফিরে যায়। দুর্ঘটনায় দুমড়েমুচড়ে যাওয়া ট্রাকটিকে ক্রেনে করে সরিয়ে নিয়ে যায় পুলিশ।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy