জাতীয় পরিবেশ আদালত। —ফাইল চিত্র।
হাওড়ার বেলগাছিয়া ভাগাড় স্থানান্তর নিয়ে কী ব্যবস্থা হয়েছে, এ বার তা হলফনামা দিয়ে পুর দফতর ও পুর কমিশনারকে জানাতে নির্দেশ দিল জাতীয় পরিবেশ আদালত। গত ৩ অক্টোবর আদালত এই নির্দেশ দিয়ে জানিয়েছে, হাওড়া পুরসভা জঞ্জাল সাফাইয়ে ব্যর্থ। ১৫ বছর আগে কলকাতা হাই কোর্ট ভাগাড় সরানো নিয়ে নির্দেশ দেওয়া সত্ত্বেও রাজ্য পুর দফতর ব্যবস্থা নেয়নি। এখনও পর্যন্ত বেলগাছিয়া ভাগাড়েই গোটা হাওড়া শহরের আবর্জনা ফেলা হচ্ছে।
হাওড়ার রাস্তা জুড়ে আবর্জনা, দিনের ব্যস্ত সময়ে ময়লা তুলতে গিয়ে তৈরি যানজট, খোলা নর্দমার জঞ্জাল ও বেলগাছিয়া ভাগাড় থেকে বর্জ্য-সহ তরল নিকাশি নালা দিয়ে কী ভাবে গঙ্গায় যাচ্ছে, তার ১৫০টির বেশি ছবি সম্প্রতি পরিবেশ আদালতে পেশ করেন পরিবেশকর্মী সুভাষ দত্ত। এর পরেই আদালত মন্তব্য করে, হাওড়ার পুর কমিশনার ও তাঁর জঞ্জাল সাফাইয়ের দল পুরোপুরি ব্যর্থ। বিকল্প ভাগাড়ের সন্ধানও এত দিনে করে উঠতে পারেনি পুর ও নগরোন্নয়ন দফতর। পুর দফতর আদালতকে জানিয়েছে, পুরসভাই বিকল্প জায়গা নিয়ে রাজ্য সরকারকে জানায়নি। পুর কমিশনারকে ব্যক্তিগত হলফনামা জমা দিতে নির্দেশ দিয়েছে আদালত।
সুভাষ বলেন, ‘‘২০২৩ সালে হাওড়া পুরসভা দেশের সব থেকে নোংরা শহরের তকমা পেয়েছে। এর আগে ১৯৫৫ সালে হাওড়া পুরসভা একটি বই প্রকাশ করেছিল। সেখানে উল্লেখ আছে, ১৮৮৯ সালে স্যানিটারি ইনস্পেক্টর জানিয়েছিলেন, তাঁর দেখা সব থেকে নোংরা শহর হাওড়া। ১৩৫ বছরেও রাজ্য সরকার বা পুরসভার টনক নড়ল না।’’
চেয়ারপার্সন সুজয় চক্রবর্তী বলেন, ‘‘পুর দফতরের সাহায্যে ভাগাড়ে ইতিমধ্যে বায়ো মাইনিং শুরু হয়েছে। কেএমডিএ রিসাইক্লিং প্লান্ট তৈরি করবে। খোলা নর্দমায় আবর্জনা ফেলার প্রবণতা বন্ধ করতে সে সব ঢাকা হবে। আবর্জনা তোলার ১০টি গাড়ি ও ভ্যাট থেকে ময়লা তোলার আরও ১৫টি যন্ত্র কেনা হচ্ছে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy