কোন্নগরে মৃত দীপাঞ্জনা গোস্বামী। — নিজস্ব চিত্র।
কোন্নগরের ফ্ল্যাটের ছাদের পাঁচিলে বসেছিলেন তরুণী। পরিবার সূত্রে খবর, প্রেমিকের সঙ্গে ফোনে কথা বলছিলেন তিনি। অভিযোগ, সে সময় চার তলার ছাদ থেকে পড়ে যান দীপাঞ্জনা গোস্বামী নামে ওই তরুণী। হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকেরা তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন। দুর্ঘটনা না কি আত্মঘাতী হয়েছেন ১৮ বছরের তরুণী, খতিয়ে দেখছে পুলিশ। তরুণীর মায়ের দাবি, যে ব্যক্তির সঙ্গে মেয়ের সম্পর্ক ছিল, তিনি নির্দোষ। তাঁর মেয়ে বিয়ের জন্য বার বার চাপ দিচ্ছিলেন যুবককে।
কোন্নগরের ইন্দিরা গান্ধী রোডের একটি আবাসনের থাকতেন তরুণী। পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, দুপুরে স্নান করার পর পোষ্য পাখিকে নিয়ে আবাসনের ছাদের পাঁচিলে বসেছিলেন দীপাঞ্জনা। স্থানীয়েরা তাঁকে ছাদ থেকে নীচের রাস্তায় পড়ে যেতে দেখেন। গুরুতর আহত অবস্থায় তাঁকে স্থানীয় হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে চিকিৎসকেরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। পরে তাঁর মৃতদেহ উত্তরপাড়া স্টেট জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়।
তরুণীর বাবা সুজন গোস্বামী জানান, প্রতি দিনের মতোই মঙ্গলবারও দুপুরে ছাদের পাঁচিলে বসেছিলেন দীপাঞ্জনা। সেই সময় মেয়ের সঙ্গে কথাও হয়েছিল তাঁর। মেয়েকে পাঁচিলে বসতে বারণ করেন তিনি। নীচে যেতে বলেন। তখন দীপাঞ্জনা জানান, কিছু ক্ষণের মধ্যেই নীচে ফ্ল্যাটে চলে যাবেন। শেষ পর্যন্ত তিনি ছাদ থেকে নীচে পড়ে যান বলে অভিযোগ। তরুণীর মা জানান, একটি ছেলের সঙ্গে সম্পর্ক ছিল দীপাঞ্জনার। তিনি এখনই বিয়ে করার জন্য চাপ দিচ্ছিলেন যুবককে। কিন্তু ওই যুবক দু’বছর সময় চেয়েছিলেন। মঙ্গলবার ছাদে বসে ফোনে ওই যুবকের সঙ্গে কিছু কথাবার্তা হয় মেয়ের। তার পরই এই ঘটনা। মৃতার মায়ের কথায়, ‘‘ছেলেটি খুব ভাল। ওঁর কোনও দোষ নেই।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy