পুজোর আয়োজন করছেন ক্লাবের সদস্যরা। নিজস্ব চিত্র।
বহু বছর ধরে সরস্বতী পুজো, শিবের পুজো করেছেন। এ বছর থেকে পাড়ার সকলের সঙ্গে হাতে হাত মিলিয়ে দুর্গাপুজোও শুরু করলেন আনসার, বাদশা, মহসিনরা। চুঁচুড়ার মহেশতলায় গড়ে উঠল সম্প্রীতির এক অনন্য নজির।
ধর্ম যার যার, উৎসব সবার। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মুখে এমন কথা হামেশাই শোনা যায়। মহেশতলায় সেই উৎসবেই সব ধর্মের রং মিলেমিশে একাকার হয়ে গেল। হুগলির চুঁচুড়া পুরসভার ৯ নম্বর ওয়ার্ডের মহেশতলা মিতালি সংঘে এত দিন সরস্বতী পুজো হত। শিব পুজোর সময়ও বড়সড় আয়োজন করেন ক্লাবের সদস্য আনসাররা। ভোগ খাওয়ানো হয় স্থানীয়দের। সম্প্রতি শিবের বেদী করা হয়েছে ক্লাবের সামনে। এ বার দুর্গাপুজোও করছে সেই ক্লাব।
পাড়ায় ৮০-৯০টি পরিবারের বাস। তাদের একটা আক্ষেপ ছিল, পাড়ায় কোনও দুর্গাপুজো হয় না। দুর্গাপুজোর সময় অন্য পাড়ায় গিয়ে আনন্দ করতে হয়। তাই দুর্গাপুোজর পরিকল্পনার জন্য ক্লাবে সভা বসে। পাড়ার সকলে, এমনকি, মুসলিম মহিলারাও যোগ দেন সেখানে।
দু’বছর আগেই দুর্গাপুজো শুরু হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু অতিমারির কারণে তা হয়নি। অবশেষে এ বছর সেই সাধ পূরণ হল এলাকাবাসীর। সাজ সাজ রব। মণ্ডপ বাঁধা চলছে। ঠাকুর বায়না হয়ে গিয়েছে। মিতালি সংঘ ক্লাবের সম্পাদক মহম্মদ আনসার বলেন, ‘‘আমাদের মধ্যে হিন্দু-মুসলিম ভেদ নেই। আমরা পুজো করব স্থির করি, সকলের মতামত নিই। পাড়ার কেউ না করেনি। আমার মা নিজে পুজোর জোগাড় করবেন। পুজোর চার দিন ঢাকের আওয়াজ ধূপ ধুনোর গন্ধে ম ম করবে পুজো মণ্ডপ সেই পরিবেশটাই অন্য রকম লাগে।’’
ক্লাব সদস্য শেখ মহসিন বলেন, ‘‘পুজোর মাধ্যমে বার্তাও দিতে চাই যে, আমরা সবাই এক।’’ বিনয় পাল বলেন, ‘‘আমাদের বাড়ির কাছেই ইমামবাড়া। সেখানে মহরমের তাজিয়া বের হয়। সেই তাজিয়াতে আমরা অংশগ্রহণ করি। এক জায়গায় থাকি, তাই একে অন্যের প্রয়োজনে সব সময় পাশে থাকার চেষ্টা করি। সকলে একমত হওয়ার পর এ বছর দুর্গাপুজো করছি আমরা। পাড়ার সবাই সাধ্যমতো সাহায্য করছেন। আর তা দিয়েই দেবী আরাধনা হবে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy