কানে হাত দিয়ে ওঠবসের কারণ ব্যাখ্যা করছেন অপরূপা। নিজস্ব চিত্র।
তিনি নারদ-মামলায় অভিযুক্ত। এ ছাড়া, আরামবাগের তৃণমূল সাংসদ অপরূপা পোদ্দারের বিরুদ্ধে কোনও দুর্নীতিতে জড়িত থাকার অভিযোগ এখনও পর্যন্ত সামনে আসেনি। অথচ, মঙ্গলবার সন্ধ্যায় হুগলির হরিপালে আদিবাসী সম্প্রদায়ের একটি কর্মসূচিতে মঞ্চে বক্তব্য পেশ করতে গিয়ে অপরূপা দাবি করলেন, তাঁর বিরুদ্ধে কাটমানি নেওয়ার অভিযোগ প্রমাণিত হলে প্রকাশ্যে কান ধরে ওঠবস করবেন।
সাংসদের এহেন মন্তব্যে শোরগোল পড়ে স্থানীয় রাজনীতিতে। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ইদানীং বারবারই অনৈতিক উপায়ে উপার্জনের ব্যাপারে দলের নেতা-কর্মীদের সতর্ক করছেন। অনেকটা সেই সূত্র ধরেই এ দিন মঞ্চে অপরূপা বলেন, ‘‘‘আমাদের দলনেত্রী সততার প্রতীক। তাঁরই সৈনিক হিসেবে আমরা উন্নয়নের কাজ করে চলেছি। আজকাল অনেক সময়ই দলীয় নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে কোথাও কোথাও কাটমানি নেওয়ার অভিযোগ উঠছে। এমনকি আমিও বলে যাচ্ছি, বেচাদা (সিঙ্গুরের বিধায়ক তথা মন্ত্রী বেচারাম মান্না) সামনে আছেন, আমার বিরুদ্ধে ওই ধরনের কোনও অভিযোগ প্রমাণিত হলে, কান ধরে সবার সমানে ওঠবস করব।’’
বেচারাম এবং হরিপালের বিধায়ক তথা তাঁর স্ত্রী করবী মান্নাও ওই সময় মঞ্চে ছিলেন। দলীয় সাংসদের ওই বক্তব্যের মাঝেই তাঁরা নিজেদের আসন ছেড়ে বাড়ির পথে পা বাড়ান। অপরূপার বক্তব্য নিয়ে বিধায়ক দম্পতির প্রতিক্রিয়া মেলেনি। কিন্তু কেন ও কথা বললেন সাংসদ?
পরে অপরূপা আনন্দবাজারকে বলেন, ‘‘দলের একটা অংশ নানা ভাবে সুকৌশলে আমার বিরুদ্ধে হাওয়ায় নানা কথা ভাসিয়ে দিচ্ছে। দলের কর্মী, স্থানীয় নেতাদের বিভ্রান্ত করছে। আমি কাজ করি না, এলাকায় যাই না, তা তো নয়। এখন অন্য রাস্তায় নিয়েছে কেউ কেউ। প্রয়োজনে ওঁরা দিদির কাছে যান না।’’
অপরূপার বক্তব্যকে গুরুত্ব দিতে চাননি দলের শ্রীরামপুর-হুগলি সাংগঠনিক জেলা সভাপতি স্নেহাশিস চক্রবর্তী। তিনি বলেন, ‘‘কে পাড়ার মাচায় কী বলল, তার কোনও গুরুত্ব নেই।’’ বিজেপি নেতৃত্ব অবশ্য তৃণমূল সাংসদের বক্তব্য নিয়ে তির্যক মন্তব্য করতে ছাড়েননি। জেলার এক বিজেপি বিধায়ক বলেন, ‘‘তৃণমূল নেতানেত্রীদের সততার আসল চেহারাটা কী, রাজ্যবাসী হাড়ে-মজ্জায় জানেন এবং বোঝেন। সভায় মাইকে অনেক কিছুই বলা যায়। কিন্তু, প্রকৃত অর্থেই সৎ থাকা আর শুধুই মুখে বলার পার্থক্যটা মানুষ ভালই বোঝেন। মানুষ বোকা নন।’’
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, Twitter এবং Instagram পেজ।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy