শ্যামপুরে শুনশান রাস্তা। চলছে পুলিশের নজরদারি। ছবি: সুব্রত জানা।
সংক্রমণ রোধে গ্রামীণ হাওড়ায় কড়াকড়ি আরও বাড়ল।
গত ১৭ জুন জারি করা প্রশাসনিক নির্দেশমতো গ্রামীণ হাওড়ায় ‘কন্টেনমেন্ট জ়োন’ বা গণ্ডিবদ্ধ এলাকার সংখ্যা ছিল মাত্র ছ’টি। রবিবার তা বাড়িয়ে করা হয়েছে ২৬টি। এ ছাড়া, ৩১টি ‘মাইক্রো-কন্টেনমেন্ট জ়োন’-এর তালিকাও ঘোষণা করা হয়েছে।। অর্থাৎ, তার আওতায় থাকছে একটি বা দু’টি বাড়ি। এ দিন সন্ধে থেকেই নয়া নির্দেশ কার্যকর হয়েছে বলে জেলা প্রশাসন জানিয়েছে।
জেলা প্রশাসনের এক কর্তা জানান, সরকারি নির্দেশে যেখানে পাশাপাশি একটি বা দু’টি বাড়িতে সর্বোচ্চ দু’জন করে সংক্রমিত রয়েছেন, সেই বাড়িগুলিকে ‘মাইক্রো-কন্টেনমেন্ট জ়োন’ করার কথা বলা হয়েছে। সেইমতোই ৩১টি ‘মাইক্রো-কন্টেনমেন্ট জ়োন’-এর তালিকা ঘোষণা করা হয়েছে।
হাওড়া জেলায় গত কয়েকদিন ধরে দৈনিক সংক্রমণের হার কমছে। ২৫ জুন দৈনিক সংক্রমণের হার ছিল ১১০ জন। ওইদিন পর্যন্ত অ্যাক্টিভ আক্রান্তের সংখ্যা ছিল ১৩৯১। তা হলে নতুন করে ‘কন্টেনমেন্ট জ়োন’-এর সংখ্যা বাড়ানো হল কেন?
জেলাশাসক মুক্তা আর্য বলেন, ‘‘সরকার চাইছে কমতে থাকা সংক্রমণ যাতে কোনও ভাবেই না বাড়ে। সরকারি নির্দেশ মোতাবেক সর্বোচ্চ দু’জন করে সংক্রমিত হয়েছেন এমন বাড়িকেও মাইক্রো-কন্টেনমেন্ট জ়োনে পরিণত করে কড়া নজরদারি চালানো হবে। সংক্রমণ কমার সুযোগ নিয়ে মানুষ যাতে বেলাগাম হয়ে না পড়েন, সে জন্যই এই কড়াকড়ি।’’
জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, শুধু ‘কন্টেনমেন্ট জ়োন’ ঘোষণাতেই থেমে থাকা হচ্ছে না। সংলগ্ন এলাকাগুলিতে বাজার বসা এবং দোকান খোলার উপরেও সাময়িক নিষেধাজ্ঞা জারি করার সিদ্ধান্ত হয়েছে। শ্যামপুর-১ এবং ২ ব্লকের ১৪টি পঞ্চায়েত এলাকায় রবিবার থেকে চার দিন দোকান-বাজার চালু রাখা হবে না বলে ইতিমধ্যেই জানিয়ে দেওয়া হয়েছে। সাঁকরাইল, জগৎবল্লভপুর, বাগনান— এইসব ব্লকেও স্থানীয় ভাবে একই রকম সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
জেলা প্রশাসনের এক কর্তার কথায়, ‘‘সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ার সম্ভাবনা রোধ করতে তৎপরতায় কোনও ফাঁক রাখা তো হবেই না, উল্টে সংক্রমণ শূন্যে নামিয়ে আনাই জেলা প্রশাসনের মূল উদ্দেশ্য।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy