আদালতের পথে ধৃতরা। নিজস্ব চিত্র।
পঞ্চায়েত ভোটের গণনার দিন বিকেলে চণ্ডীতলা-১ ব্লকের নবাবপুর পঞ্চায়েতের ভগবতীপুর পোলধারে পে-লোডার দিয়ে সিপিএম ও আইএসএফের দুই প্রার্থীর দোকান ভেঙে দেওয়ার অভিযোগ ওঠে তৃণমূলের বিরুদ্ধে। এ নিয়ে জনমানসে প্রতিক্রিয়া হয়। এই ঘটনায় বৃহস্পতিবার দুই তৃণমূল কর্মী এবং পে-লোডারের চালককে গ্রেফতার করে পুলিশ। ধৃতদের শুক্রবার শ্রীরামপুর আদালতে পেশ করা হলে ১৪ দিন জেল হেফাজতের নির্দেশদেন বিচারক।
পুলিশ জানায়, ধৃতদের নাম শেখ সরিফুল, শেখ আবদুল্লা এবং শৈলেশকুমার প্রসাদ। ভগবতীপুরের বাসিন্দা সরিফুল ও আবদুল্লা তৃণমূল কর্মী। পে-লোডার চালক শৈলেশ লিলুয়ার বাসিন্দা।
চণ্ডীতলা-১ পঞ্চায়েত সমিতির আইএসএফ প্রার্থী আসফার হোসেনের দু’টি দোকান এবং নবাবপুর পঞ্চায়েতের সিপিএম প্রার্থী শেখ আতাউরের দোকান পে-লোডার দিয়ে ভাঙা হয় বলে অভিযোগ। দোকান ভাঙার খবর পেয়েও পুলিশ দেরি করে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় বলে অভিযোগ। তবে, পুলিশের বক্তব্য, খবর পেয়েই পুলিশ দ্রুত সেখানে যায়। স্বতঃপ্রণোদিত হয়ে পুলিশই নির্দিষ্ট ধারায় মামলা রুজু করে তদন্তে নামে। পে-লোডারটি আটক করা হয়েছে। তৃণমূলের হামলার ভয়ে আসফার-আতাউর ঘরছাড়া বলে আইএসএফ-সিপিএমের অভিযোগ।
এলাকাবাসীর অনেকের বক্তব্য, গ্রামবাংলায় রাজনৈতিক হানাহানির নানা পন্থা ইতিপূর্বে দেখা গিয়েছে। তবে, পে-লোডার দিয়ে প্রতিপক্ষের সম্পত্তি নষ্টের কথা আগে শোনা যায়নি।
মঙ্গলবার গণনার রাতে ভগবতীপুর পোলধারে সিসিএমের জেলা পরিষদ প্রার্থী সায়মা বেগমের বাড়িতে তৃণমূলের লোকেরা হামলা চালায় বলে অভিযোগ। বাড়িতে লুটপাট, গাড়ি ভাঙচুর হয়। এ নিয়ে শুক্রবার চণ্ডীতলা থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন সায়মা। তিনি বলেন, ‘‘কোন রাজত্বে বাস করছি! বিরোধী দলের হয়ে ভোটে লড়াই করলে বাড়িছাড়া হতে হয়! শাসকদলের বিরুদ্ধে ভোটে লড়াই করা কি অপরাধ? যারা আমার বাড়ি ভাঙচুর করেছে, তাদের কঠোর শাস্তি দাবি করছি।’’ পুলিশ জানিয়েছে,তদন্ত চলছে।
চণ্ডীতলার তৃণমূল নেতা মলয় খাঁ বলেন, ‘‘কেউ অপরাধ করলে, শাস্তি পাবে। সন্ত্রাসের রাজনীতি তৃণমূল করে না।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy