Advertisement
২৩ ডিসেম্বর ২০২৪
ISC

Third in ISC: বাবা বন্ধ কারখানার শ্রমিক, অনটনকে হেলায় হারিয়ে দেশে তৃতীয় হলেন মেহেলি

মেহেলি বলেন, ‘‘মেডিক্যাল পড়তে চাই। কলকাতার কোনও সরকারি মেডিকেল কলেজে থেকে এমবিবিএস করাই আমার লক্ষ্য।’’

মেহেলিকে আশীর্বাদ মা, বাবা, দাদুর।

মেহেলিকে আশীর্বাদ মা, বাবা, দাদুর। নিজস্ব চিত্র।

নিজস্ব সংবাদদাতা
শ্রীরামপুর শেষ আপডেট: ২৪ জুলাই ২০২২ ২২:১৯
Share: Save:

বাবা বন্ধ কারখানার শ্রমিক ছিলেন। মা সাধারণ বধূ। হাজার অভাবের সঙ্গে লড়াই করে সাফল্যের স্বাদ পেলেন শ্রীরামপুরের মেহেলি। রবিবার প্রকাশিত আইএসসি-তে দেশে তৃতীয় হয়েছেন তিনি। ভবিষ্যতে ইচ্ছে ডাক্তার হয়ে গরিব, প্রান্তিক মানুষের পাশে দাঁড়ানো।

ডানকুনির ভাদুয়ার বাসিন্দা অজিত ও দীপা ঘোষের একমাত্র মেয়ে মেহেলি। পড়েন শ্রীরামপুর হোলি হোম স্কুলে। ৯৯.২৫ শতাংশ নম্বর পেয়ে গোটা দেশে তৃতীয় হয়েছেন মেহেলি। অজিত ডানকুনির একটি ব্যাটারি কারখানায় কাজ করতেন। আগুন লেগে দুর্ঘটনার পর গত এক বছর ধরে সেই কারখানা বন্ধ। বর্তমানে সম্পূর্ণ বেকার তিনি।অজিত জানান, অল্প কিছু চাষের জমি আছে, কখনও গুদামে মজুরি করে সংসার চলে। অনটন আছে তবে মেয়ের পড়াশোনার চালানোর জন্য কোনও দিন আপস করেননি। আজ মেয়ে সাফল্য পেয়েছে, তাই খুশি ঘোষ দম্পতি।

মেহেলি বলেন, ‘‘মেডিক্যাল পড়তে চাই। কলকাতার কোনও সরকারি মেডিকেল কলেজে থেকে এমবিবিএস করাই আমার লক্ষ্য।’’ বই পড়া, বাগান পরিচর্যা তাঁর অবসরের ভাল লাগা। একটা সময় আঁকতেও ভাল লাগত। যদিও পড়ার চাপে আঁকার খাতা আর খোলা হয় না। ডাক্তার হয়ে মা বাবার দুঃখ দূর করার পাশাপাশি মেহেলি চান গরিব, প্রান্তিক মানুষের পাশে দাঁড়াতে।

অন্য বিষয়গুলি:

ISC Serampore
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy