Advertisement
০৫ নভেম্বর ২০২৪
Conjunctivitis

কনজাংটিভাইটিস, দুই জেলায় আক্রান্ত অনেকে

চিকিৎসরা অবশ্য জানিয়েছেন, এই রোগ সংক্রামক। যেহেতু গত তিন বছরে করোনা পরিস্থিতির জেরে দূরত্ব-বিধি ছিল, সেই কারণে এই রোগে আক্রান্তের সংখ্যা ছিল কম।

চক্ষুরোগ বিশেষজ্ঞের দ্বারস্থ এক খুদে। চুঁচুড়ায়।

চক্ষুরোগ বিশেষজ্ঞের দ্বারস্থ এক খুদে। চুঁচুড়ায়। — নিজস্ব চিত্র।

নিজস্ব সংবাদদাতা
হাওড়া, চুঁচুড়া শেষ আপডেট: ২৫ জুলাই ২০২৩ ০৭:০৫
Share: Save:

বর্ষা আর বসন্তে কনজাংটিভাইটিসের প্রকোপ বাড়ে। আর চলতি বছরে তার সংক্রমণ ছড়াচ্ছে একটু বেশি। হাওড়া ও হুগলি—দুই জেলাতেই চক্ষুরোগ বিশেষজ্ঞদের কাছে ভিড় জমছে রোগীর। তার মধ্যে স্কুল পড়ুয়াদের সংখ্যা বেশির দিকে। কিছু ক্ষেত্রে রেহাই মিলছে না শিক্ষক-শিক্ষিকাদেরও।

চিকিৎসরা অবশ্য জানিয়েছেন, এই রোগ সংক্রামক। যেহেতু গত তিন বছরে করোনা পরিস্থিতির জেরে দূরত্ব-বিধি ছিল, সেই কারণে এই রোগে আক্রান্তের সংখ্যা ছিল কম। সেই দূরত্ব-বিধি কমায় এই রোগ এ বছরে বেশি ছড়িয়েছে। আর খুদেপড়ুয়াদের মধ্যে চোখে-মুখে হাত দেওয়ার প্রবণতা বেশি। ফলে কারও এক জনের হলেই সেটা দ্রুত অন্যদের মধ্যে ছড়িয়ে পড়ছে।

হুগলি জেলা স্বাস্থ্য দফতরের এক কর্তা বলেন, ‘‘পরিচ্ছন্নতা-বিধি মেনে চলতে হবে। বড়রা সেটা মানলে দ্রুত নিরাময় হবে। ছোটরা সব সময় নিয়ম মানতে পারে না। তাদের দেখভাল করতে হবে বড়দের। এই রোগ নিয়ে আতঙ্কের কোনও কারণ নেই।’’

সুকান্তনগর অনুকূলচন্দ্র উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক হাশমাৎ আলি বলেন, ‘‘বিগত দিন দশের মধ্যে বিভিন্ন ক্লাসের কয়েকজন পড়ুয়া আক্রান্ত হয়েছে। তাদের স্কুলে আসতে বারণ করা হয়েছে।’’ কাপাসডাঙা সতীন সেন বিদ্যাপীঠের প্রধান শিক্ষক তরুণ কুমার বলেন, ‘‘ছাত্র-ছাত্রীদের পাশাপাশি এক শিক্ষিকাও আক্রান্ত হয়েছেন। সকলকেই বাড়িতে থাকার কথা বলা হয়েছে।’’ একই অবস্থা জেলার অন্যত্রও।

চুঁচুড়ার বিশিষ্ট চক্ষুরোগ বিশেষজ্ঞ অরূপ বোস বলেন, ‘‘কয়েকটা বিধি মেনে চললে এ নিয়ে আতঙ্কিত হওয়ার কারণ নেই। চোখে অতিরিক্ত জ্বালা, চুলকানি কিংবা জ্বর ভাব তিন-চার দিনে না কমলে চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া উচিত।’’

হাওড়ার সাঁকরাইলের সারেঙ্গা, রঘুদেববাটী, আন্দুল-সহ বিভিন্ন পঞ্চায়েত এলাকার বহু বাসিন্দা কনজাংটিভাইটিসে আক্রান্ত হয়েছেন। সারেঙ্গার এক বাসিন্দা জানান, তাঁদের পরিবারের ৬ জন আক্রান্ত হয়েছেন। চক্ষুরোগ বিশেষজ্ঞ দেবদত্ত দাস বলেন, ‘‘এই অবস্থায় মানুষের সঙ্গে মেলামেশা বন্ধ করতে হবে। না হলে পরিবারের সকলের মধ্যে এই সংক্রমণ ছড়াবে।’’

মহিয়াড়ি রানিবালা কুন্ডু চৌধুরী গার্লস স্কুলের প্রধান শিক্ষিকা সুব্রতা চক্রবর্তীর কথায়, ‘‘ছাত্রীদের কংজাংটিভাইটিসের লক্ষণ ধরা পড়লেই সাত দিনের নিভৃতবাসের পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে। সুস্থ হলে চিকিৎসকের প্রেসক্রিপশন আনার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।’’

অন্য বিষয়গুলি:

Conjunctivitis Chinsurah Howrah
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE