আজ, সোমবার বিশ্ব যক্ষ্মা দিবস। এক বছরে হাওড়ায় যক্ষ্মামুক্ত পঞ্চায়েতের সংখ্যা বেড়ে ৩১টি হয়েছে বলে জেলা স্বাস্থ্য দফতরের দাবি। তার আগে জেলায় যক্ষ্মামুক্ত পঞ্চায়েত ছিল ১৪টি। তবে, গত বছরের কয়েকটি পঞ্চায়েত এ বারে তালিকায় স্থান পায়নি বলে ওই দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে।
জেল যক্ষ্মা আধিকারিক প্রসূন ঘোষ বলেন, ‘‘এই এক বছরে ভাল কাজ করেছে সাঁকরাইল এবং জগৎবল্লভপুর ব্লক। এ বছরে জেলায় চারটি পঞ্চায়েত রুপো এবং ২৭টি পঞ্চায়েত ব্রোঞ্জ বিভাগে স্থান পেয়েছে। সোমবার বিশেষ দিনটিতে জেলা স্বাস্থ্য দফতরের পক্ষ থেকে ওই পঞ্চায়েতগুলির কর্তৃপক্ষের হাতে শংসাপত্র তুলে দেওয়া হবে। দ্রুত জেলার ১৫২টি পঞ্চায়েতকে যক্ষ্মামুক্ত করার কাজ চলছে।’’
জেলা স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, যক্ষ্মামুক্ত পঞ্চায়েত গড়তে সারা বছর নানা কর্মকাণ্ড চলে। নির্দিষ্ট শর্তাবলি পূরণ করতে হয় পঞ্চায়েতগুলিকে। প্রথম বছরে সব শর্ত পূরণ করলে মেলে ‘ব্রোঞ্জ’ তকমা। লাগাতার পরের বছরেও সব কিছু ঠিক ভাবে করলে সেই পঞ্চায়েত পায় ‘রুপো’ তকমা। আর তিন বছর লাগাতার যক্ষ্মামুক্ত পঞ্চায়েতের শর্ত পূরণ করতে পারলে ‘সোনা’ তকমা মেলে। কিন্তু মাঝখানে একবার না পারলে আবার প্রথম থেকে শুরু করতে হয়। প্রতি মাসে চলে পর্যবেক্ষণ। বছরের শেষে ব্লক থেকে তালিকা পাঠানো হয় জেলা স্বাস্থ্য দফতরের কাছে। সেই তালিকা অনুযায়ী পঞ্চায়েতগুলিতে সরেজমিনে পর্যবেক্ষণ চালানো হয়। তারপরে সেই তালিকা রাজ্য স্বাস্থ্য দফতরের কাছে পাঠানো হয়। তার পরে সেখান থেকে জেলায় পাঠানো হয় যক্ষ্মামুক্ত পঞ্চায়েতের তালিকা।
জগৎবল্লভপুরের ব্লক স্বাস্থ্য আধিকারিক সাগর বসাক বলেন, ‘‘সারা বছর স্বাস্থ্য দফতরের কর্মীদের সঙ্গে পঞ্চায়েত ও ব্লক প্রশাসনের সকলের মিলিত প্রচেষ্টায় এই ফল সম্ভব হয়েছে।’’ সাঁকরাইলের ব্লক স্বাস্থ্য আধিকারিক সুমন বক্সী বলেন, ‘‘সরকারের নির্ধারিত সময়ের মধ্যে এই ব্লকের সব পঞ্চায়েতকে যক্ষ্মামুক্ত করার লক্ষ্যে আমরা কাজ করছি। প্রশাসনের সর্বস্তরের সহায়তায় আগামী দিনে এই কাজে আমরা
সফল হব।’’
(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)