ছাতা হাতে নাকাল। পাঁচলায় জাতীয় সড়ক পারাপার। ছবি: সুব্রত জানা।
বুধবার রাত থেকে শুরু হওয়া টানা বৃষ্টির জেরে নাস্তানাবুদ হাওড়ার বিস্তীর্ণ এলাকা। কোথাও সদ্য সারানো সাঁকো ভেঙে গিয়েছে। বিভিন্ন জায়গায় জল জমে যাওয়ায় বৃহস্পতিবার সকাল থেকে নিকাশির দাবিতে হয় রাস্তা অবরোধ।
ইয়াসে আমতা-২ ব্লকের গায়েনপাড়া খেয়াঘাটের মুণ্ডেশ্বরী পারাপারের বাঁশের সাঁকো ভেঙে গিয়েছিল। তার জেরে সমস্যায় পড়েছিলেন ভাটোরা পঞ্চায়েতের কয়েক হাজার বাসিন্দা। ঘাটমালিক নতুন করে সাঁকো তৈরি করে বুধবার দুপুর থেকে চালু করেছিলেন। বুধবারের রাতের প্রবল বৃষ্টিতে ফের ভাঙল সেই সাঁকো। আমতা-২ পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি দেলওয়ার হোসেন মিদ্যা বলেন, ‘‘গ্রামবাসীদের বিপদের আর শেষ নেই। ফের নতুন করে সাঁকো তৈরি না হওয়া পর্যন্ত নদী পারাপারের ভরসা শুধু নৌকোই।’’
পাঁচলার গঙ্গাধরপুর পঞ্চায়েতের গোন্দলপাড়া গ্রামে রাস্তা ডুবে যাওয়ায় গ্রামবাসীরা বিপাকে পড়েন। স্থানীয় বাসিন্দা অম্লান পাত্র বলেন, ‘‘রাস্তার দু’পাশে নিকাশি খালগুলি বুজে গিয়েছে। তার উপরে টানা বৃষ্টি। এর ফলেই রাস্তায় জল জমেছে।’’ উলুবেড়িয়া-২ ব্লকের বাসুদেবপুর পঞ্চায়েতের বলরামপোতা গ্রামে জল জমে যায়। নিকাশির দাবিতে এলাকার বাসিন্দারা প্রায় এক ঘণ্টা মুম্বই রোড অবরোধ করেন। পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
অতিবৃষ্টিতে বাগনান-১ ব্লকের এনডি ব্লকের বিস্তীর্ণ এলাকা, উলুবেড়িয়া পুরসভা এলাকার ১৯ নম্বর ওয়ার্ডের কদমতলার বেশ কিছু এলাকা জলমগ্ন হয়। সাঁকরাইলের বাণীপুর-২ পঞ্চায়েতের বিভিন্ন এলাকা জলমগ্ন হয়ে পড়ে। স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, এখানে সম্প্রতি বেশ কয়েকটি বহুতল তৈরি হয়েছে। কিন্তু সেই সব বহুতলের জল নিকাশির ব্যবস্থা ও বর্জ্য ফেলার কোনও নির্দিষ্ট জায়গা করা হয়নি। ফলে অনেকেই বর্জ্য ফেলছেন নিকাশি নালায়। প্লাস্টিক আর বর্জ্য জমে সেই নিকাশি নালা বুজে গিয়ে জল জমছে এলাকায়।
শ্যামপুর-২ ব্লক ও আমতা শহরের বিভিন্ন এলাকায় জল জমে যায়। মাঠে জল জমে যাওয়ায় আমন ধানের চারার ক্ষতি হতে পারে বলে আশঙ্কা জানান শ্যামপুর-২ পঞ্চায়েতের সভাপতি জুলফিকার মোল্লা।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy