টোটোচালকের আসনে তৃণমূল বিধায়ক মনোরঞ্জন ব্যাপারী। —নিজস্ব চিত্র।
পেট্রোল-ডিজেলের মূল্যবৃদ্ধির প্রতিবাদ জানাতে অভিনব পন্থা নিলেন বলাগড়ের তৃণমূল বিধায়ক মনোরঞ্জন ব্যাপারী। নিজের কেন্দ্রে যাতায়াতের জন্য ব্যাটারিচালিত টোটো কিনে ফেললেন তিনি। বলাগড়ের মানুষের সমস্যার কথা শুনতে ইদানীং সে টোটোর চালকের আসনে দেখা যাচ্ছে স্বয়ং বিধায়ককে। যদিও তাঁর এই প্রতিবাদকে সস্তা প্রচারের তকমা দিয়ে কটাক্ষ করেছেন হুগলির বিজেপি সাংসদ লকেট চট্টোপাধ্যায়।
বিরোধীদের কটাক্ষ সত্ত্বেও দমে যাননি মনোরঞ্জন। এককালে রিক্সা চালাতেন। সদ্যসমাপ্ত বিধানসভা নির্বাচনে তৃণমূলের টিকিটে দাঁড়ানোর পর রিক্সা চালিয়েই মনোনয়নপত্র জমা দিতে যেতে দেখা গিয়েছে মনোরঞ্জনকে। বলাগড় আসনে জিতে বিধায়ক হওয়ার পর সাধারণের সমস্যার কথা শুনতে টোটো চালিয়ে তাঁদের দোরগোড়ায় মনোরঞ্জন পৌঁছচ্ছেন বলে তৃণমূলের দাবি। তবে এর পিছনে যে পেট্রোপণ্যের মূল্যবৃদ্ধির জন্য তাঁর প্রতিবাদ রয়েছে, সে দাবি করেছেন মনোরঞ্জন। রাজ্য-সহ গোটা দেশেই পেট্রোল-ডিজেলের দাম ঊর্ধ্বমুখী। বহু রাজ্যে পেট্রলের দাম লিটার প্রতি ১০০ টাকা পার করেছে। এ রাজ্যেও তা ১০০ ছুঁই ছুঁই। মনোরঞ্জনের দাবি, “যে হারে পেট্রোল-ডিজেলের দাম বাড়ছে, তাতে যানবাহন পোষা খরচসাপেক্ষ হয়ে উঠেছে। তাই ব্যাটারিচালিত টোটো কেনা। তা ছাড়া, গ্রামের বহু রাস্তা রয়েছে, যেখানে গাড়ি ঢোকে না।”
ইদানীং তাঁর টোটোর সামনের একটি বোর্ডে ‘এমএলএ’ লিখে গোটা বলাগড় চষে ফেলছেন মনোরঞ্জন। যদিও তৃণমূল বিধায়কের এই কাণ্ডকে ‘সস্তা প্রচার’ বলে মনে করছে বিজেপি। দলের সাংসদ লকেটের দাবি, “পেট্রোলের দাম কমানোর জন্য মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে আবেদন করা উচিত বিধায়কের। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী পেট্রোপণ্যের দাম বাড়াচ্ছেন, রাজ্যবাসীকে এমন ভুল বার্তা দেওয়া হচ্ছে। পেট্রল-ডিজেলের মতো পেট্রোপণ্যে যে সেস বসিয়েছে রাজ্য, তার হার কেন্দ্রের তুলনায় বেশি। তা একমাত্র রাজ্য সরকারই কমাতে পারে। তা হলেই পেট্রল-ডিজেলের দাম কমবে।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy