Advertisement
২২ নভেম্বর ২০২৪
Manager Escaped With Theft Charges

সিসি ক্যামেরা বন্ধ করে গ্রাহকদের গয়না লোপাট! নামী ঋণ প্রদানকারী সংস্থার ম্যানেজারের খোঁজে পুলিশ

গত দু’দিন ধরে উত্তরপাড়ার জেকে স্ট্রিটে ওই বেসরকারি স্বর্ণ ঋণ প্রদানকারী সংস্থার অফিসে লেনদেন বন্ধ হয়ে গিয়েছে। কারণ হিসাবে গ্রাহকদের বলা হয়, ‘অডিট হচ্ছে’। সেই জন্য কাউকে ঢুকতে দেওয়া হয়নি।

প্রায় কোটি টাকার সোনা গায়েব রয়েছে বলে অভিযোগ করা হয় পুলিশকে।

প্রায় কোটি টাকার সোনা গায়েব রয়েছে বলে অভিযোগ করা হয় পুলিশকে। —নিজস্ব চিত্র।

আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা
হুগলি শেষ আপডেট: ২৯ ডিসেম্বর ২০২৩ ২৩:৪৩
Share: Save:

স্বর্ণ ঋণ প্রদানকারী সংস্থায় একটি শাখার ম্যানেজারের বিরুদ্ধে নগদ অর্থ এবং সোনার গয়না তছরুপের অভিযোগে শোরগোল। তাঁর বিরুদ্ধে হুগলির উত্তরপাড়া থানায় অভিযোগ দায়ের হয়েছে। যদিও অভিযুক্ত পলাতক।

স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে খবর, গত দু’দিন ধরে উত্তরপাড়ার জেকে স্ট্রিটে ওই বেসরকারি স্বর্ণ ঋণ প্রদানকারী সংস্থার অফিসে লেনদেন বন্ধ হয়ে গিয়েছে। কারণ হিসাবে গ্রাহকদের বলা হয়, ‘অডিট হচ্ছে’। সেই জন্য কাউকে ঢুকতে দেওয়া হয়নি। শুক্রবার বিকালে উত্তরপাড়া থানায় সংস্থার ম্যানেজার সঞ্জীব দত্তের বিরুদ্ধে অভিযোগ করেন কর্তৃপক্ষ। বলা হয় ছয় মাস অন্তর অডিট হয় সংস্থার শাখাগুলিতে। সেই অডিটে ধরা পরে আর্থিক তছরুপের বিষয়টি। বৃহস্পতিবার ম্যানেজারকে নিয়ে গভীর রাত পর্যন্ত হিসাব কষে দেখা যায় দেড় লক্ষ টাকার গরমিল রয়েছে। ম্যানেজার নিজের থেকে সেই টাকা মিটিয়ে দেন। তার পর তাঁকে গাড়ি করে হাওড়ার মালি পাঁচঘড়ার বাড়িতে পৌঁছে দেওয়া হয়। কিন্তু শুক্রবার ভল্ট খুলে সোনা মেলাতে গিয়ে চক্ষু চড়কগাছে সংস্থার কর্তাদের। প্রায় কোটি টাকার সোনা গায়েব রয়েছে বলে অভিযোগ করা হয় পুলিশকে। তবে সঠিক সোনার পরিমাণ কত, সেই হিসাব এখনও নয়। পুলিশের অনুমান, অঙ্কটা কোটি টাকা ছাড়াবে।

বস্তুত, এই ঋণ প্রদানকারী সংস্থাটি বেশ নামী। সোনার গয়না বন্ধক রেখে এখান থেকে ঋণ নেন সাধারণ মানুষ। সেখানে এমন একটা কাণ্ডে গ্রাহকদের মনে আতঙ্কের সৃষ্টি হয়েছে। অন্য দিকে, অভিযোগ পাওয়ার পরই উত্তরপাড়া থানার পুলিশ অভিযুক্ত ম্যানেজারের বাড়িতে গিয়ে দেখেন মূল দরজায় তালা দেওয়া। পুলিশ জানিয়েছে, ম্যানেজার সিসি ক্যামেরা বন্ধ রেখে গয়না সরিয়ে নিতেন। নিরাপত্তারক্ষী কিছু বলতে গেলে তাঁকে ধমক দিয়ে চুপ করিয়ে দিতেন। এখন গ্রাহকদের গয়না নিয়ে বাইরে বিক্রি করেছেন না কি সেই গয়না বাইরে খাটিয়ে বাজার থেকে টাকা তুলতেন, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। চলছে অভিযুক্তের খোঁজ। ওই সংস্থার গ্রাহক অনির্বাণ রায়চৌধুরী বলেন, ‘‘বাড়িতে কিছু সমস্যার জন্য গহনা বন্ধক দিয়ে টাকা নিয়েছিলাম। এখন শুনছি, ম্যানেজার সোনা নিয়ে চলে গিয়েছে। রক্ষকই যদি ভক্ষক হয় তা হলে সাধারণ মানুষ কোথায় যাবেন?’’

অন্য বিষয়গুলি:

Hooghly Theft
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy