—প্রতীকী চিত্র।
নমাজ সেরে ফেরার সময় রাস্তায় কাটারি দিয়ে কুপিয়ে খুন করা হয়েছিল যুবককে। ১৪ বছর আগের সেই ঘটনায় যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ড হল হুগলির গুড়াপের এক যুবকের। সোমবার এই রায় দেয় চুঁচুড়া আদালত।
গুড়াপ থানার কাটাগড়িয়া গ্রামে ২০১০ সালের ৪ ফেব্রুয়ারি খুন হন শেখ ইব্রাহিম (৪৫)। সেই ঘটনায় গ্রেফতার হন মহরম আলি। ইব্রাহিমের সঙ্গে মহরমের পুরনো গন্ডগোল ছিল। ঘটনার দিন বিকেলে নমাজ পড়ে ফিরছিলেন ইব্রাহিম। সেই তাঁকে কুপিয়ে খুন করেন মহরম। ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় ইব্রাহিমের। ইব্রাহিমের দাদার সামনেই গোটা ঘটনা ঘটে। বাধা দেওয়ার চেষ্টা করেছিলেন। কিন্তু মহরমকে আটকাতে পারেননি।
মৃতের ভাইপো ফিরোজ মামুদ অভিযোগ দায়ের করেন গুড়াপ থানায়। তার ভিত্তিতে মহরমকে গ্রেফতার করে ৩০২ ধারায় মামলা রুজু করে পুলিশ। ২০১০ সালে ১৮ জুলাই এই মামলায় চার্জশিট দাখিল করা হয়। মোট ১৩ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ করা হয়। গত বৃহস্পতিবার হুগলির প্রথম দায়রা আদালতের বিচারক সঞ্জয় শর্মা অভিযুক্তকে দোষী সাব্যস্ত করেছিলেন।
এই মামলায় সরকার পক্ষের আইনজীবী ছিলেন সুব্রত গুছাইত। তিনি অন্য একটি দায়িত্বে চলে যাওয়ায় হুগলি জেলা আদালতের মুখ্য সরকারি আইনজীবী শঙ্কর গঙ্গোপাধ্যায় মামলায় সওয়াল করেন। সরকারি আইনজীবী জানান, ‘‘আজ শেষ শুনানির সময় আমি উল্লেখ করি, কী নৃশংস ভাবে শেখ ইব্রাহিমকে খুন করা হয়েছিল!এটা বিরলতম ঘটনা। যদিও বিচারক তা মানেননি। অভিযুক্তকে যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ড দেন উনি। ১০ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরও ছয় মাসের জেল।’’
মৃতের স্ত্রীকে ৫০ হাজার টাকা ক্ষতিপূরণ দিতে হবে বলেও নির্দেশ দেওয়া হএছে। এই মামলায় অভিযোগকারী ফিরোজ মামুদ বলেন, ‘‘আমার কাকাকে নৃশংস ভাবে কুপিয়ে খুন করা হয়েছিল। কাকার কোনও অপরাধই ছিল না। তাই অভিযুক্তের ফাঁসি হলে আমরা আরও খুশি হতাম। আদালত ৫০ হাজার টাকা ক্ষতিপূরণের ব্যবস্থা করায় খুশি হয়েছি। কাকিমার আমরা ছাড়া আর কেউ নেই।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy