Advertisement
২২ ডিসেম্বর ২০২৪
Kona Expressway

রাস্তা সম্প্রসারণের কাজে পুনর্বাসন ছাড়াই উচ্ছেদের ‘হুমকি’, অবস্থান-বিক্ষোভ

বিক্ষোভকারীদের অভিযোগ, রাজ‍্য সরকারের দেওয়া জমির পাট্টা থাকা সত্ত্বেও জাতীয় সড়ক কর্তৃপক্ষ প্রতিনিয়ত তাঁদের উচ্ছেদ করার হুমকি দিচ্ছেন। এই পরিস্থিতিতে আতঙ্কে দিন কাটাচ্ছেন ১৭টি পরিবারের প্রায় শ’দুয়েক সদস্য।

An image of Kona Express Way

—প্রতীকী চিত্র।

নিজস্ব সংবাদদাতা
কলকাতা শেষ আপডেট: ০৪ জানুয়ারি ২০২৪ ০৫:২৪
Share: Save:

কোনা এক্সপ্রেসওয়ে সম্প্রসারণ এবং ছ’লেনের এলিভেটেড করিডর তৈরির কাজের জন্য পুনর্বাসন ছাড়াই তাঁদের উচ্ছেদের হুমকি দেওয়া হচ্ছে— এমনই অভিযোগ তুলে বুধবার থেকে এক্সপ্রেসওয়ের ধারে অবস্থান-বিক্ষোভ শুরু করলেন স্থানীয় নারায়ণপল্লির বাসিন্দারা। এ দিন বিকেল থেকে তাঁরা জানা গেটের কাছে মঞ্চ বেঁধে, বুকে পোস্টার ঝুলিয়ে অবস্থান শুরু করেছেন। বিক্ষোভকারীদের অভিযোগ, রাজ‍্য সরকারের দেওয়া জমির পাট্টা থাকা সত্ত্বেও জাতীয় সড়ক কর্তৃপক্ষ প্রতিনিয়ত তাঁদের উচ্ছেদ করার হুমকি দিচ্ছেন। এই পরিস্থিতিতে আতঙ্কে দিন কাটাচ্ছেন ১৭টি পরিবারের প্রায় শ’দুয়েক সদস্য।

উল্লেখ্য, কোনা এক্সপ্রেসওয়ের জানা গেটের কাছে উত্তর বাকসাড়া মৌজায় রাস্তার ধারে বাড়ি তৈরি করে ৬০ বছরেরও বেশি সময় ধরে বাস করছেন কেন্দ্রীয় সরকার স্বীকৃত নারায়ণপল্লি উদ্বাস্তু কলোনির বাসিন্দারা। তাঁদের অভিযোগ, গত বছরের ১৫ জুন জাতীয় সড়ক কর্তৃপক্ষের তরফে তাঁদের ১৭টি পরিবারকে উচ্ছেদের নোটিস ধরানো হয়। তার পর থেকে ক্রমাগত তাঁদের ওই জায়গা ছেড়ে উঠে যাওয়ার জন্য হুমকি দেওয়া হচ্ছে। এমনকি, মাঝেমধ্যে এসে শাসিয়ে যাচ্ছে পুলিশও।

অসিত চক্রবর্তী নামে কলোনির এক বাসিন্দা বলেন, ‘‘২০২০ সালে রাজ্য সরকার আমাদের ওই জমির পাট্টা দিয়েছে। তা ছেড়ে চলে যাওয়ার জন্য কেন্দ্রীয় সরকার হুমকি দিচ্ছে কেন? আমরা উন্নয়নের বিরোধী নই, কিন্তু এতগুলি পরিবারকে উচ্ছেদের আগে তো পুনর্বাসনের ব্যবস্থা করা উচিত ছিল। আমরা এখন যাব কোথায়?’’

এ বিষয়ে বাসিন্দাদের পাশে দাঁড়িয়েছে ‘কেন্দ্রীয় সম্মিলিত বাস্তুহারা পরিষদ’। পরিষদের দক্ষিণ হাওড়া আঞ্চলিক কমিটির সভাপতি সুশান্ত পোদ্দার বলেন, ‘‘বাম আমলে কোনা এক্সপ্রেসওয়ে তৈরি হওয়ার সময়ে ২২টি পরিবারকে হাওড়া ইমপ্রুভমেন্ট ট্রাস্টের জমিতে পুনর্বাসন দেওয়া হয়েছিল। আমরা উন্নয়নের বিরোধিতা করছি না। কিন্তু এই মানুষগুলোর পুনর্বাসনের ব্যবস্থা করতে হবে।’’ অন্দোলনকারীরা জানিয়েছেন, পুনর্বাসনের ব্যবস্থা না হওয়া পর্যন্ত অবস্থান-বিক্ষোভ চলবে। প্রয়োজনে বৃহত্তর আন্দোলন হবে।

অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে জাতীয় সড়ক কর্তৃপক্ষের এক পদস্থ কর্তা বলেন, ‘‘আমরা জানতে পেরেছি, যে জমির পাট্টা কলোনির বাসিন্দাদের দেওয়া হয়েছে, সেটি আসলে দক্ষিণ-পূর্ব রেলের জমি। রেলের জমি অন্য কাউকে পাট্টা হিসাবে দেওয়া যায় না। তাই নীতিগত ভাবে আমরা ভুল করছি না।’’

অন্য বিষয়গুলি:

Kona Expressway Howrah Protest
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy