হিমঘর থেকে আলু বেরোয়নি। ফাঁকা ধনেখালির একটি শেড। নিজস্ব চিত্র।
এমনিতেই আলুর বাজার চড়া। আলু ব্যবসায়ীরা রাজ্য জুড়ে কর্মবিরতির ডাক দেওয়ায় হুগলিতে সোমবার বাজারে জোগানে তেমন প্রভাব পড়েনি। কিছু বাজারে অবশ্য এ দিনই দাম পৌঁছে গিয়েছে কেজিপ্রতি ৪০ টাকায়। তবে, আজ, মঙ্গলবার থেকে বাজারে আলুর জোগান কমার আশঙ্কা দেখা গিয়েছে। ফলে, দাম নিয়েও উদ্বেগ রয়েছে সাধারণ ক্রেতাদের।
বিভিন্ন রাজ্যে আলু সরবরাহের ক্ষেত্রে সীমানা বন্ধ রাখা, ‘পুলিশি জুলুম’ ইত্যাদির প্রতিবাদে সোমবার থেকেই অনির্দিষ্টকালের জন্য কর্মবিরতি শুরু করেছে ‘পশ্চিমবঙ্গ প্রগতিশীল আলু ব্যবসায়ী সমিতি’। এ দিন রাজ্যের মধ্যে একমাত্র সিঙ্গুরের পাঁচটি হিমঘর থেকে কিছু আলু বের করেন ব্যবসায়ীরা।
ওই সমিতির রাজ্য সম্পাদক লালু মুখোপাধ্যায় বলেন,‘‘আমাদের দাবি-দাওয়া নিয়ে সরকারি স্তরে এখনও কোনও মীমাংসা হয়নি। রাজ্যের সীমানাগুলিতে আলুর ট্রাকের উপর অত্যাচার বন্ধ না হলে আমরা কর্মবিরতি চালিয়ে যাব।’’
সূত্রের খবর, প্রতিদিন যে আলু বাজারে মেলে, তা একদিন আগে হিমঘর থেকে বের করা হয়। সোমবারের আলু শনিবার দিনই হিমঘর থেকে বের হয়েছিল। সেই কারণেই এ দিন আলুর দাম বিশেষ বাড়েনি বলে দাবি বিক্রেতাদের। তবে, আরামবাগের বিভিন্ন বাজারে যে আলু রবিবারও ছিল ৩৫ টাকা কেজি, এ দিন তা পাঁচ টাকা বেড়ে যায়।
আরামবাগের ৪ নম্বর ওয়ার্ডের পুরনো সব্জি বাজারের ব্যবসায়ী সমিতির কর্তা ঝন্টু ধাড়া বলেন, ‘‘বাজারে এ দিন আলু আসেনি। রবিবার পর্যন্ত ৩৫ টাকা কেজিতে বিক্রি হয়েছে। এ দিন ৪০ টাকা দর। মঙ্গলবার আলু মিলবে কি না সন্দেহ।’’ আরামবাগের একটি হিমঘরের মালিক সুনীলকুমার ঘোষ বলেন, “এ দিন চাষিরা নিজেদের আলু বের করলেও ব্যবসায়ীরা আলু বের করেননি।”
সূত্রের খবর, প্রতিদিন রাজ্যের হিমঘরগুলি থেকে ছ’লক্ষ প্যাকেট (৫০ কেজিতে এক প্যাকেট) আলু বের করা হয়। শুধুমাত্র হুগলির হিমঘরগুলি থেকে ১ লক্ষ ৭০ হাজার প্যাকেট আলু বের হয়। ব্যবসায়ীদের দাবি, রাজ্যের হিমঘরগুলিতে এখনও অন্তত ৪৪ লক্ষ টন আলু মজুত আছে। তার নিরিখে আগামী কয়েক মাস আলুর জোগানে ঘাটতি হওয়ার কথা নয়। কিন্তু ওড়িশা, বিহার এবং ঝাড়খণ্ডের সীমানায় পুলিশ অযথা আলুর ট্রাকের চালকদের হয়রান করছে বলে তাঁদের অভিযোগ। তার প্রতিবাদেই এই কর্মবিরতি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy