খানাকুল থানা। —ফাইল চিত্র।
তাঁর সোনার ব্রেসলেট খোয়া গিয়েছে। খানাকুলের মালঞ্চের এক মহিলা তা কুড়িয়ে পেয়েছেন বলে তাঁর সন্দেহ। মহিলার কাছে চেয়েও ব্রেসলেট না-পাওয়ায় বুধবার বিকালে তাঁকে স্থানীয় ফাঁড়িতে এবং পরে থানায় নিয়ে গিয়ে রাত পর্যন্ত আটকে রেখে চোখের তলায় কাঁচা লঙ্কা ঘষে মারধরের অভিযোগ উঠল তুষার মণ্ডল নামে এক সাব-ইনস্পেক্টরের (এসআই) বিরুদ্ধে। অভিযুক্তকে সাসপেন্ড করেছেন হুগলির (গ্রামীণ) পুলিশ সুপার আমনদীপ।
ওই নিগ্রহের অভিযোগ সামনে আসতেই বৃহস্পতিবার সকালে এলাকার মানুষ থানা ঘেরাও করেন। নিগৃহীতাকে আরামবাগের একটি নার্সিংহোমে ভর্তি করানো হয়। তাঁর শাশুড়ি থানায় অভিযোগ দায়ের করেন। পুলিশ সুপার বলেন, “এফআইআর করা হয়েছে। অভিযুক্ত অফিসারকে সরাসরি সাসপেন্ড করা হয়েছে।” তাঁর বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ নিয়ে তুষার কোনও মন্তব্য করতে চাননি। তিনি জানান, যা বলার ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষই বলবেন।
মহিলার শাশুড়ির অভিযোগ, “বৌমাকে মিথ্যা অভিযোগে এক মাস ধরে মানসিক নিগ্রহ করছিলেন তুষার। বুধবার ওঁকে বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে গিয়ে মারধর করে। গভীর রাতে প্রায় সংজ্ঞাহীন অবস্থায় বাড়িতে দিয়ে যায়। বৌমার হাতে এক হাজার টাকা গুঁজেও দিয়ে যায়। এই অন্যায়ের প্রতিকার চাই।’’ নার্সিংহোমে চিকিৎসারত ওই মহিলা বলেন, ‘‘গৃহবধূর অভিযোগ, “মারধরের সময় অস্থানে আঘাত করা হয়েছে। চোখের তলায় কাঁচা লঙ্কা ঘষে দেওয়া হয়।”
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, গত ২৩ জানুয়ারি সন্ধ্যায় পুলিশকর্মীরা ফাঁড়ি সংলগ্ন স্কুলমাঠে ভলিবল খেলছিলেন। সেই সময় তুষারের হাত থেকে ব্রেসলেট খুলে পড়ে যায়। ২৬ জানুয়ারি তিনি স্থানীয় প্রাথমিক স্কুলের ছেলেমেয়ের কাছে জানতে চান, কেউ তা কুড়িয়েছে কি না। তুষারের দাবি ছিল, ওই মহিলার ছেলে সেটি কুড়িয়ে পেয়েছিল বলে তাঁকে জানিয়েছিল। ২৬ জানুয়ারি মহিলাকে ফাঁড়িতে ডেকে তাঁর কাছেই ব্রেসলেট আছে বলে তুষার চাপ সৃষ্টি করেন বলে অভিযোগ। মহিলা অস্বীকার করলেও তাঁর বাপেরবাড়িতেও তল্লাশি চলে।
মহিলার স্বামী কর্মসূত্রে কলকাতায় থাকেন। তিনি বলেন, ‘‘ছেলে ও রকম কিছু বলেনি বলে জানিয়েছে। বলে থাকলেও একটি শিশুর কথার উপর ভিত্তি করে পুলিশের এই অত্যাচার মানা যায় না। মনগড়া, ভিত্তিহীন সন্দেহ করে ওই পুলিশকর্মী এই অত্যাচার চালালেন। সুবিচার চাই।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy