রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়কে তোপ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের। —ফাইল চিত্র।
রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়ের ডোমজুড় সফর নিয়ে কটাক্ষ করলেন কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়। স্থানীয় এক তৃণমূল নেতার মৃত্যুর খবর পেয়ে শনিবার ডোমজুড়ে গিয়েছিলেন রাজীব। কিন্তু সেখানে বিক্ষোভের মুখে পড়তে হয় তাঁকে। পরিস্থিতি এমন হয় যে প্রয়াত দলীয় নেতার বাড়িতে প্রবেশের আগেই ডোমজুড় থেকে ফিরে যেতে বাধ্য হন রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী। সেই ঘটনার কথা শুনে কল্যাণের হুঁশিয়ারি, ‘‘ডোমজুড়ের লোকজন তবু তো ভদ্রতা করে কালো পতাকা দেখিয়েছে। অন্য কিছু করে দেননি এটাই অনেক।’’
সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে কল্যাণের খোঁচা, ‘‘ডোমজুড় কি ওঁর পৈতৃক সম্পত্তি? ডোমজুড় কবে থেকে ওঁর এলাকা হল?’’ এর পর শ্রীরামপুরের সাংসদ বলেন, ‘‘সাড়ে ৪৩ হাজার ভোটে হারিয়ে বাড়ি পাঠিয়ে দিয়েছি। এক বারই তো জিতেছিল, এ বার হেরে ভূত হয়েছে। ডোমজুড়ের লোকজন তবু তো ভদ্রতা করে কালো পতাকা দেখিয়েছে। অন্য কিছু করে দেয়নি এটাই অনেক। অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় তো আমাকে বলেছিলেন, ‘রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায় যা করার ত্রিপুরায় করবে।’ তা ও ডোমজুড়ে ঘুরে বেড়াচ্ছে কেন? ও তৃণমূল করলেও অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় আমাকে বলেছেন, ‘২০২৪ পর্যন্ত ওকে শুধু ত্রিপুরায় থাকতে হবে।’ শ্রাদ্ধবাড়ি, বিয়েবাড়ি বলে ডোমজুড়ে ঢোকার চেষ্টা করছে? ও জানে না, এ বার তো শুধু কালো পতাকা, এর পর অন্য কিছু হবে।’’
শুক্রবার রাতে প্রয়াত হন হাওড়ার সলপ এক নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের দু’বারের প্রাক্তন প্রধান সুধীরচন্দ্র ঘোষ। তিনি ডোমজুড়ের তৃণমূল সভাপতিও ছিলেন। সেই খবর পেয়ে তাঁর পরিবারকে সমবেদনা জানাতে যান রাজীব। কিন্তু সেখানে ঢোকার মুখে গ্রামবাসীদের একাংশের বাধা পান তিনি। তাঁকে ঘিরে ধরে ‘রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায় দূর হঠো’ বলে স্লোগান দেন অনেকে। এমনকি, ডোমজুড়ের প্রাক্তন বিধায়ককে তাঁরা ‘মিরজাফর’ আখ্যাও দেওয়া হয়। বিক্ষোভের মুখে পড়ে ফিরতে বাধ্য হন তিনি। তা নিয়েই কড়া প্রতিক্রিয়া কল্যাণের।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy