—প্রতীকী চিত্র।
সদ্যসমাপ্ত লোকসভা নির্বাচনের প্রচারে এ রাজ্যে তৃণমূলের ‘দুর্নীতি’কে অন্যতম প্রধান হাতিয়ার করেছিল বিজেপি। অথচ, সেই দলের পক্ষ থেকেই নিজেদের এক নেতাকে ভোটের মুখে আধাসেনায় ‘নিয়োগ দুর্নীতি’ নিয়ে সরব না হওয়ার জন্য রীতিমতো চিঠি দেওয়া হয়েছিল!
এমনটাই দাবি করেছেন বিষ্ণু চৌধুরী নামে ওই নেতা। তিনি বিজেপির হুগলি সাংগঠনিক জেলার তফসিলি মোর্চার সহ-সভাপতি। ইতিমধ্যে তাঁকে দেওয়া দলের সেই চিঠি সমাজমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে। বিষ্ণু বলেন, ‘‘পাছে বিরোধীরা হাতিয়ার পেয়ে যায়, তাই দলের কথা মেনে তখন মুখ বন্ধ রেখেছিলাম। কিন্তু ভোট মিটে যাওয়ার পরে এখনও দল বিষয়টিতে হস্তক্ষেপ তো করেইনি, উল্টে আমাকে হুমকি দেওয়া হচ্ছে। দল অন্যের দুর্নীতি নিয়ে মুখর হচ্ছে। বোঝাই যাচ্ছে, দলে স্বচ্ছতার অভাব রয়েছে।’’ বিষ্ণু জানান, আধাসেনায় নিয়োগ দুর্নীতি নিয়ে গত বছর তিনি কলকাতা হাই কোর্টে একটি মামলা করেছিলেন। সিবিআই ওই মামলার তদন্ত করছে। আগামী ২৪ জুন শুনানি হবে।
বিজেপির হুগলি সাংগঠনিক জেলার সভাপতি তুষার মজুমদার অবশ্য ওই চিঠির বিষয়ে কিছুই জানেন না বলে দাবি করেছেন। দলের হুগলি সাংগঠনিক জেলার সাধারণ সম্পাদক সুরেশ সাউ বলেন, ‘‘ওই চিঠির বিষয়ে কিছু বলতে পারব না। এখন ভোটের ফলাফল নিয়ে পর্যালোচনা চলছে। তাই দল যদি ও রকম চিঠি দেয়, এখনই মুখ না খুলে আগে দলের অভ্যন্তরে কথা বললেই ভাল হত। বিষয়টি খতিয়ে দেখা হবে।’’
গত জানুয়ারি মাসে বিষ্ণুকে ওই চিঠি দিয়েছিলেন তৎকালীন দলের তফসিলি মোর্চার হুগলি সাংগঠনিক জেলা সভাপতি নীহার মণ্ডল। তিনি নির্বাচনের কিছুদিন আগে তৃণমূলে যোগ দেন। নীহার বলেন, ‘‘আধাসেনার মতো জায়গায় নিয়োগ দুর্নীতি। ভোটের মুখে তা জানাজানি হলে আমার পুরনো দল চাপে পড়ত। সে জন্যই নেতৃত্বের কথামতো আমি ওই চিঠি দিয়েছিলাম।’’
চুঁচুড়ার তৃণমূল বিধায়ক অসিত মজুমদারের কটাক্ষ, ‘‘নিয়োগ মামলার বিচারক বিজেপির প্রার্থী হচ্ছেন, সন্দেশখালিতে টাকা দিয়ে সাক্ষী তৈরি করা হচ্ছে! উল্টো দিকে, কেন্দ্রীয় সরকারের আধা সামরিক বাহিনীতে নিয়োগ নিয়ে মামলা করায় বিজেপি নেতাকেই হুমকির মুখে পড়তে হচ্ছে! বিজেপির মুখোশ ক্রমশ খুলছে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy