Advertisement
০৫ মার্চ ২০২৫
দুয়ারে সরকারে তৃণমূলের ‘গোষ্ঠীসংঘর্ষ’
Duare Sarkar

উপপ্রধানকে ধরার দাবিতে পথ অবরোধ

মনিরুল ও তাঁর দলবলের বিরুদ্ধে থানায় লিখিত অভিযোগ হয়েছে। তাঁদের গ্রেফতারের দাবিতে শুক্রবার পিয়াসারা বাজার এলাকায় অবরোধ করা হয়।

—প্রতিনিধিত্বমূলক ছবি।

—প্রতিনিধিত্বমূলক ছবি। Sourced by the ABP

শেষ আপডেট: ০১ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ ০৮:২৫
Share: Save:

উপভোক্তাদের পরিষেবা দেওয়া নিয়ে বৃহস্পতিবার তারকেশ্বরের নাইটা মালপাহাড়পুর পঞ্চায়েতে ক্ষুদ্ররামপুর উচ্চ বিদ্যালয়ে ‘দুয়ারে সরকার’ শিবিরে মারামারিতে জড়ায় তৃণমূলের দুই গোষ্ঠী। তার জের রইল শুক্রবারেও। এক পক্ষকে গ্রেফতারের দাবিতে পথ অবরোধ করল অন্য পক্ষ।

তৃণমূল সূত্রে খবর, স্থানীয় বিধায়ক তথা দলের আরামবাগ সাংগঠনিক জেলা সভাপতি রামেন্দু সিংহরায় ও পঞ্চায়েতের উপপ্রধান শেখ মনিরুলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের জেরেই ওই ঘটনা। অভিযোগ, বৃহস্পতিবার বাঁশ, লাঠি নিয়ে আস্ফালন চলায় দু’পক্ষ। মনিরুলের দেহরক্ষী বন্দুক উঁচিয়ে হুমকি দেন। শিবিরের কাজ লাটে ওঠে। পুলিশ পরিস্থিতি সামলায়। পুলিশি পাহারায় শিবির শেষ হয়।

মনিরুল ও তাঁর দলবলের বিরুদ্ধে থানায় লিখিত অভিযোগ হয়েছে। তাঁদের গ্রেফতারের দাবিতে শুক্রবার পিয়াসারা বাজার এলাকায় অবরোধ করা হয়। বিক্ষোভকারীদের হাতে থাকা পোস্টারে মনিরুলকে ‘দুষ্কৃতী’ বলে উল্লেখ করা হয়। আধ ঘণ্টা পরে পুলিশ অবরোধ তোলে।

বিধায়কের গোষ্ঠীর লোক হিসাবে পরিচিত, তৃণমূল কর্মী বিরাজ বন্দ্যোপাধ্যায়ের স্ত্রী অস্মিতা বলেন, ‘‘উপপ্রধান, তাঁর দেহরক্ষী-সহ হামলাকারী সকলকে গ্রেফতারের দাবিতে অবরোধ করা হয়েছে। মানুষ পরিষেবা পাচ্ছেন না। আমরা মানুষের পাশে থাকতে চাই, ওরা থাকতে দিচ্ছে না। থানায় অভিযোগ করলেও পুলিশ ব্যবস্থা নিচ্ছে না।’’ উপপ্রধানের দাবি, ‘‘পুরো ঘটনা পুলিশের উপস্থিতিতে হয়েছে। পুলিশ তদন্ত করে দেখুক, কারা হামলা চালিয়েছে।’’

হুগলি গ্রামীণ পুলিশের এক কর্তা জানান, তদন্ত শুরু হয়েছে। উপপ্রধানের দেহরক্ষী শেখ শাহজাহানকে পুলিশ লাইনে ‘ক্লোজ়’ করা হয়েছে।

উপপ্রধানের অভিযোগ, শিবিরে পরিষেবা দেওয়ার সময় অন্য পক্ষের লোকেরা টেবিল সরিয়ে দেয়। তাঁকে এবং দেহরক্ষীকে ধাক্কাধাক্কি করে। দেহরক্ষীর বন্দুক ছিনতাইয়ের চেষ্টা হয়। যাতে ছিনতাই না হয়, সে জন্য দেহরক্ষী বন্দুকটি হাতে নেন। তাঁর দাবি, বিরাজের নেতৃত্বে হামলা হয়েছে। বিরাজ বিজেপি করেন। কবে তৃণমূলে এসেছেন, তিনি জানেন না।

বিধায়ক প্রতিক্রিয়া মেলেনি। তিনি ফোন ধরেননি। মোবাইল-বার্তারও জবাব দেননি। বিরাজ দাবি করেন, উপপ্রধান মিথ্যা বলছেন। তাঁরা তৃণমূলের কর্মী। বিধায়কের নেতৃত্বে তৃণমূলকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন। তাঁরা টেবিল নিয়ে বসতেই উপপ্রধান চড়াও হন। তাঁর দেহরক্ষী বন্দুক বের করেন।

পুরশুড়ার বিজেপি বিধায়ক বিমান ঘোষের কটাক্ষ, ‘‘টাকার ভাগ নিয়ে এটা তৃণমূলের গোষ্ঠীবাজি। এলাকা দখল নিয়ে সরকারি পরিষেবা প্রদান কর্মসূচিতেও নিজেদের মধ্যে লড়াই।’’

অন্য বিষয়গুলি:

TMC internal conflict Tarakeshwar
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy