Advertisement
২৩ ডিসেম্বর ২০২৪
২৭ ফেব্রুয়ারি পুরভোট। হুগলির ১২টি পুরসভার যে সব ওয়ার্ডের ভোট নিয়ে চর্চা বেশি, তাতে নজর রাখল আনন্দবাজার। আজ, আরামবাগের ১৯ নম্বর ওয়ার্ড।
Arambagh

জয়ের হ্যাটট্রিক হবে কি? চিন্তায় পরিণীতা

লড়তে হবে চার জনের সঙ্গে। চিন্তার ভাঁজ বাড়ছে আরামবাগের ১৯ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল প্রার্থী পরিণীতা ঘোষের। উদ্বেগে দলের নেতারাও।

আরামবাগের ১৯ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল প্রার্থী পরিণীতা ঘোষের প্রচার।

আরামবাগের ১৯ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল প্রার্থী পরিণীতা ঘোষের প্রচার। ছবি: সঞ্জীব ঘোষ ।

পীযূষ নন্দী
আরামবাগ শেষ আপডেট: ১৭ ফেব্রুয়ারি ২০২২ ০৯:১০
Share: Save:

লড়তে হবে চার জনের সঙ্গে। চিন্তার ভাঁজ বাড়ছে আরামবাগের ১৯ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল প্রার্থী পরিণীতা ঘোষের। উদ্বেগে দলের নেতারাও। পরিণীতার জেতার হ্যাটট্রিক হবে তো!

পরিণীতাকে লড়তে হবে বিজেপির বিশ্বজিৎ ঘোষ, সিপিএমের তরুণকান্তি রায়, কংগ্রেসের গৌতম গঙ্গোপাধ্যায় এবং নির্দল প্রার্থী রিক্তা সরকারের সঙ্গে। পঞ্চমুখী প্রতিদ্বন্দ্বিতা আরামবাগের ১৬ নম্বর ওয়ার্ডেও হচ্ছে। কিন্তু ১৯ নম্বরের লড়াইটাই সবচেয়ে ‘কঠিন’ তৃণমূলের কাছে।

রাখঢাক না রেখেই শহর তৃণমূল সভাপতি তথা ১৮ নম্বর ওয়ার্ডের দলীয় প্রার্থী প্রদীপ সিংহরায় বলেন, “ওই ওয়ার্ডটি আমাদের খুব চিন্তার বিষয়। সেখান থেকে জেতা নিশ্চিত করতে বৈঠক করেছি। আশা করছি, সঙ্কট কাটাতে পারব।”

পরিণীতা এই ওয়ার্ডের বিদায়ী কাউন্সিলর। তার আগের দফায় তিনি জিতেছিলেন ১৩ নম্বর ওয়ার্ড থেকে। এ বার তাঁর উদ্বেগ বাড়িয়েছেন নির্দল প্রার্থী রিক্তাই। ওই তৃণমূল কর্মী দলের টিকিট না পেয়ে নির্দল হয়ে দাঁড়িয়েছেন। পরিণীতার অভিযোগ, “আমাকে এ বার বোর্ডে ঢুকতে দেবে না, অন্যায়ের প্রতিবাদ করতে দেবে না বলেই দলের কিছু অসাধু ব্যক্তি নির্দল হিসেবে গোঁজ দেওয়ার চক্রান্ত করেছে। আমরা বিরুদ্ধে গুচ্ছের প্রার্থী হয়ে মানুষের উন্নয়ন থমকে দিতে চাইছে। ১০ বছর ধরে আমি কাউন্সিলর হিসেবে কত উন্নয়ন করেছি, প্রচারে সে সব মানুষকে বলছি। কিন্তু এ বার কী হবে
জানি না।”

বুধবার রিক্তা ফাঁসিবাগানে প্রচার করছিলেন। তাঁর কাছে মানুষের ভাল জমায়েতও ছিল। তিনি বলেন, “লোকেরা কেউ পরিণীতাকে চাইছেন না। ডানপন্থীদের ভোটটা আমিই পাব। তবে এ বার বিজেপি, সিপিএম, কংগ্রেস সবাই থাকায় হাওয়া ঠিকমতো বোঝা যাচ্ছে না।”

প্রচুর ভোট কাটাকাটির আশঙ্কা করছেন বিজেপি প্রার্থী বিশ্বজিৎ। তিনি বলেন, “পুলিশের সাহায্য নিয়ে শাসক দল ভোটটা আদৌ করতে দেবে কিনা, সেটাই প্রশ্ন। ভোট যথাযথ হলে মানুষ বিজেপিকেই চাইছেন। গত বিধানসভা ভোটে এই ওয়ার্ড-সহ ১১টি ওয়ার্ডে বিজেপি এগিয়ে ছিল। প্রচারে বলছি, সার্বিক উন্নয়নের স্বার্থে মজবুত বিরোধী থাকা দরকার।”

কংগ্রেস প্রার্থী গৌতম কিছুদিন আগেই তৃণমূল ত্যাগ করেছেন। তিনি বলেন, “ভোট কাটাকাটিতে যে কারও ভাগ্যে শিকে ছিঁড়তে পারে।” সিপিএম প্রার্থী তরুণকান্তি বলেন, “আগের পুরভোটগুলিতে আমরা দ্বিতীয় স্থানে ছিলাম। ভোট করতে দিলে আমরাই জিতছি।”

তবে, এই পঞ্চমুখী প্রতিদ্বন্দ্বিতায় ওয়ার্ডের বাসিন্দারা খুশি। ফাঁসিবাগানের মুন্না প্রসাদ বলেন, “বহুদিন পর অপেক্ষাকৃত ভাল মানুষকে বেছে নেওয়ার সুযোগ হয়েছে। এখন সত্যিকার ভোটের পরিবেশটা বাজর রাখুক প্রশাসন।” একই রকম আশা প্রকাশ করেছেন বিবেকানন্দ পল্লির শিক্ষক শঙ্কর সরকার, তালারপাড়ের ব্যবসায়ী শ্যামল রায় প্রমুখ। ক্ষেত্রপাল পাড়ার বৃদ্ধা অলকা মালিকের আনন্দ, “এ বার দেখছি হম্বিতম্বি করে কেউ ভোট চাইছেন না। ভাল মুখ করে হাতজোড় করে অনুনয়-বিনয় করছেন।”

অন্য বিষয়গুলি:

Arambagh
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy