আদালতের পথে রবিন। — নিজস্ব চিত্র।
অন্য যুবকের সঙ্গে বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্ক আছে, এই সন্দেহে দ্বিতীয় স্ত্রীকে শ্বাসরোধ করে খুন করে দেহ রেললাইনে ফেলে দেওয়ার অভিযোগ উঠল স্বামীর বিরুদ্ধে। তাকে গ্রেফতার করেছে রেল পুলিশ। মঙ্গলবার সকালে উলুবেড়িয়া স্টেশনের ১ নম্বর প্ল্যাটফর্ম থেকে কিছুটা দূরে রেললাইনের ধার থেকে মিনা পণ্ডিত (৪০) নামে ওই মহিলার দেহ উদ্ধার হয়।
তদন্তকারীরা জানান, ধৃতের নাম রবিন ভাঙ্গি। দেহ উদ্ধারের পরেই তিনি উলুবেড়িয়া জিআরপি থানায় গিয়ে আত্মসমর্পণ করেন। ভারতীয় ন্যায় সংহিতার ১০৩ (১) ধারায় খুনের মামলা রুজু করে তাঁকে গ্রেফতার করা হয়। উলুবেড়িয়া আদালতে তোলা হলে ধৃতকে ৭ দিন পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ দেন বিচারক।
রেল পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, রাজাপুরের কমলাচক গ্রামের রবিন বছর আটেক আগে পালিয়ে বিয়ে করেন মিনাকে। দু’জনেরই এটি দ্বিতীয় বিয়ে। রবিনের প্রথম পক্ষের তিন ছেলে, এক মেয়ে। মিনার প্রথম পক্ষের দুই মেয়ে, এক ছেলে। তবে মিনা-রবিনের কোনও সন্তান নেই। বিয়ের পর থেকে তাঁরা বিভিন্ন জায়গায় ভাড়া থাকতেন। এখন থাকছিলেন কমলাচক খালপাড়ে রবিনের পুরনো বাড়ির অদূরেই। রবিন গাছ কাটা এবং রান্নার কাজ করে। মিনা আনাজ বেচতেন। রান্নার কাজে রবিনের সহকারী হিসাবেও যেতেন।
মাস চারেক আগে চোখে অস্ত্রোপচার হওয়ায় রবিন রান্নার কাজে যাচ্ছিল না। রবিনের এক বন্ধুর সঙ্গে মিনা রান্নার কাজে যেতেন। পুলিশকে রবিন জানায়, তার ওই বন্ধুর সঙ্গে মিনার সম্পর্ক রয়েছে বলে সন্দেহ ছিল। এই নিয়ে দু’জনের মধ্যে অশান্তি হয়। মাসখানেক আগে মিনা উলুবেড়িয়ার বাণীবন গ্রামে তাঁর বাপের বাড়ি চলে যান। রবীন ফিরে যায় প্রথম পক্ষের স্ত্রীর কাছে।
রবিন তদন্তকারীদের জানিয়েছে, সন্দেহবশত সে মিনার প্রতি নজর রাখত। ঘুরতে যাওয়ার নাম করে সোমবার সন্ধ্যায় মিনাকে ফোন করে নিমদিঘিতে মুম্বই রোডের সামনে ডাকে রবিন। সেখান থেকে দু’জনে হাঁটতে হাঁটতে উলুবেড়িয়া স্টেশন পেরিয়ে একটি ফাঁকা জায়গায় যায়। রেললাইনে পড়ে থাকা প্লাস্টিকের আলুর বস্তা গলায় পেঁচিয়ে মিনাকে খুন করে বলে পুলিশকে জানিয়েছে রবিন। দেহ ফেলে রেখে বাড়ি চলে যায়।
মঙ্গলবার আদালতের পথে সংবাদমাধ্যমের প্রশ্নে রবিন বলে, ‘‘মিনাকে খুব ভালবাসতাম। ওর জন্যই প্রথম স্ত্রী এবং ছেলেমেয়েকে ফেলে চলে গিয়েছিলাম। সে-ই অন্য জনের সঙ্গে সম্পর্ক তৈরি করায় রাগ সামলাতে না পেরে খুন করেছি।’’রেল পুলিশের এক কর্তা বলেন, ‘‘ধৃতকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। তার সঙ্গে আর কেউ জড়িত কিনা, খতিয়ে দেখা হচ্ছে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy