দূর থেকে এক ঝলক দেখলে মনে হতে পারে, এখনই ভেঙে পড়বে মণ্ডপ! কাছে গেলে দেখা যাবে গোটা মণ্ডপটাই দুলছে। ময়ূরপঙ্খী নৌকার মতো। চন্দননগরের বাউড়িপাড়া সর্বজনীনে এ বার এমনটাই থিম। সেই মণ্ডপে ঢুকেই প্রতিমা দর্শন করছেন হাজার হাজার দর্শনার্থী।
অতিমারির প্রথম বছর চন্দননগরে অনেক পুজোই বন্ধ ছিল। পুজো বন্ধ রাখার কথা ভেবেছিল বউড়িপাড়াও। শেষ মুহূর্তে সিদ্ধান্ত বদল হয়। ২৪ ঘণ্টায় প্রতিমা তৈরি করে পুজো হয়েছিল সেবার। গত বছর চমক ছিল সিংহের গর্জন। জঙ্গলের মধ্যে দেবী জগদ্ধাত্রীর আরাধনা আর সেখানে সিংহ ঘাড় দুলিয়ে গর্জন করছে।
আরও পড়ুন:
এ বার গোটা মণ্ডপ দুলছে, যন্ত্রের মাধ্যমে। সমুদ্রে ভাসছে ময়ূরপঙ্খী। মণ্ডপের উচ্চতা চল্লিশ ফুট। ভাবনার নেপথ্যে আলোক শিল্পী পিন্টু মুখোপাধ্যায়। পুজো কমিটির সদস্য পিঙ্কি ঘোষ বলেন, ‘‘এমন ভাবনা চন্দননগরে প্রথম। আমরা চেষ্টা করছি, প্রতি বছর দর্শকদের নতুন কিছু দেখাতে। মণ্ডপ দুলছে, কিন্তু ভিতর ঢুকলে বোঝা যাবে না। যেমন জাহাজে উঠলে বোঝা যায় না।’’