হাওড়ার বেলিলিয়াস রোড শিল্পাঞ্চলে ডাকাতির সিসিটিভি ফুটেজ
হাওড়ার বেলিলিয়াস রোড শিল্পাঞ্চলে ডাকাতির ঘটনায় ডাকাতদের বরাত দিয়েছিলেন লুঠ হওয়া দোকান মালিকের পরিচিত কয়েক জন দালাল। দোকানের বিভিন্ন আর্থিক লেনদেনের সঙ্গে তাঁরা জড়িয়ে ছিলেন বলেও জানতে পেরেছেন তদন্তকারীরা।
মঙ্গলবার সকাল ১০টা নাগাদ বেলিলিয়াস রোডে একটি লোহার সামগ্রীর দোকান থেকে এক কোটি টাকা লুঠের ঘটনা ঘটে। পালানোর সময় যানজটে গাড়ি আটকে পড়ায় জনাকীর্ণ রাস্তা দিয়ে দিনেদুপুরে পিস্তল উঁচিয়ে ডাকাতদের দৌড় আতঙ্কিত করেছে এলাকাবাসীকে। সিসিটিভি ক্যামেরায় ধরা পড়ে ওই হাড়হিম করা ভিডিয়ো। এর পরেই ঘটনার তদন্তে নেমে দোকানের আর্থিক কারবারের সঙ্গে জড়িত তিন দালালকে গ্রেফতার করে জিজ্ঞাসাবাদ করে পুলিশ। এঁরা হলেন দক্ষিণ ২৪ পরগনার মহেশতলার বাসিন্দা ননীগোপাল দাস, বালির বাসিন্দা শিবরাম চট্টোপাধ্যায় এবং বরানগরের বাসিন্দা বিশ্বজিৎ দাস।
সিসি ফুটেজ দেখেই পুলিশ জানতে পারে, ঘটনার সময় অফিসের আশপাশেই ছিলেন ওই তিন দালাল। এর পরেই তাঁদের প্রথমে আটক এবং পরে গ্রেফতার করে জেরা করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। দালালদের জেরা করে পুলিশ জানতে পারে, লুঠ হওয়া দোকানের ব্যবসায়ী সুনীল শর্মার সঙ্গে তাঁদের পরিচয় মূলত কালো টাকা সাদা করার সূত্রেই। তাঁদের মধ্যে আলাপ প্রায় মাস ছয়ের। বেশির ভাগ সময় হোটেলে বা ফোনে কথা হত। ব্যবসায়ীর অফিসেও নিত্য যাতায়াত ছিল তাঁদের। মূলত পণ্য ও পরিষেবা কর যাতে কম দিতে হয়, সুনীলকে সেই ব্যবস্থাই করে দিতেন ওই তিন দালাল। এ ছাড়া টাকা হস্তান্তরের ক্ষেত্রে তাঁদের কমিশন দেওয়া হত।
পুলিশ জানতে পারে, মঙ্গলবার অফিসে টাকা হস্তান্তরের ব্যাপার ছিল। অফিসে যে মোটা অঙ্কের টাকা রয়েছে, তা আগে থেকেই জানতেন দুষ্কৃতীরা। এর থেকেই পুলিশের অনুমান, ওই তিন দালালই ডাকাতদের বরাত দিয়ে হস্তান্তর হওয়া টাকা লুঠ করিয়েছেন। এবং গোটা বিষয়টিই পরিকল্পনামাফিক করা হয়েছে। ঘটনার মুহূর্তের ভিডিয়ো দেখে তেমনটাই মনে করছেন তদন্তকারীরা।
প্রকাশ্যে আসা ভিডিয়োতে দেখা গিয়েছে, গোডাউনের মালিককের হাত-পা বেঁধে মুখে লিউকোপ্লাস্ট লাগিয়ে দেন ডাকাতরা। তার পর রিভলভার দেখিয়ে আলমারি থেকে টাকা লুঠ করে তাঁরা পালান।
ডাকাতির পর দুষ্কৃতীরা পালাতে সক্ষম হলেও পারেননি গাড়ির চালক। স্থানীয়েরাই তাঁকে ধরে ফেলেন। তাঁকে দফায় দফায় জিজ্ঞাসাবাদ করে পুলিশ জানতে পারে, ঘটনাস্থল থেকে ছুটে পালিয়ে হাওড়া ময়দান থেকে ট্যাক্সি বুক করেছেন ডাকাতরা। তাঁরা এখনও পলাতক। ধৃত চালক ডাকাতির সঙ্গে কী ভাবে জড়িতে তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলেই জানাচ্ছেন তদন্তকারীরা।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy