Advertisement
০৬ নভেম্বর ২০২৪
Santragachi Flyover

সাঁতরাগাছির যানজট সামলাতে ড্রোনে নজরদারি

পুলিশ কমিশনার প্রবীণকুমার ত্রিপাঠীর দাবি, বেশ কিছু বৈজ্ঞানিক পদ্ধতি অনুসরণ করে পদস্থ অফিসার এবং তিন হাজার পুলিশকর্মী পথে নেমে দিনভর যানবাহন চলাচল নিয়ন্ত্রণ করেছেন।

স্তব্ধ: সাঁতরাগাছি সেতু বন্ধ থাকায় যানজটে আটকে অ্যাম্বুল্যান্সও। যান নিয়ন্ত্রণে উড়ছে ড্রোন। সোমবার। ছবি: দীপঙ্কর মজুমদার।

স্তব্ধ: সাঁতরাগাছি সেতু বন্ধ থাকায় যানজটে আটকে অ্যাম্বুল্যান্সও। যান নিয়ন্ত্রণে উড়ছে ড্রোন। সোমবার। ছবি: দীপঙ্কর মজুমদার। নিজস্ব চিত্র।

নিজস্ব সংবাদদাতা
কলকাতা শেষ আপডেট: ২২ নভেম্বর ২০২২ ০৬:৩৯
Share: Save:

সেতুর এক্সপ্যানশন জয়েন্ট পাল্টানোর কাজ চলছে। তাই সাঁতরাগাছি সেতু রাতে পুরোপুরি বন্ধ এবং সারা দিনে একটি লেন দিয়েই অ্যাম্বুল্যান্স, ছোট গাড়ি ও বাস চলাচল করছে। শুক্রবার রাত থেকে কাজ শুরু হতেই প্রথম দিন শনিবার যানজটে জর্জরিত হন মানুষ। সময় হাতে নিয়ে বেরিয়েও অনেকে দূরপাল্লার ট্রেন ধরতে পারেননি বলে অভিযোগ। এ সব থেকে শিক্ষা নিয়েই সোমবারের ‘অগ্নিপরীক্ষা’য় নামে হাওড়া সিটি পুলিশ। এ দিন কমিশনার-সহ হাওড়া পুলিশের পদস্থ কর্তারা ড্রোনের মাধ্যমে নজরদারি চালিয়ে কোনা এক্সপ্রেসওয়ে-সহ সংলগ্ন রাস্তার যানজট সামলান। ড্রোনের ছবি দেখে ১০-১৫ মিনিট অন্তর সাঁতরাগাছি সেতুর দু’পাশের গাড়ি ছাড়া হয়।

পুলিশ কমিশনার প্রবীণকুমার ত্রিপাঠীর দাবি, বেশ কিছু বৈজ্ঞানিক পদ্ধতি অনুসরণ করে পদস্থ অফিসার এবং তিন হাজার পুলিশকর্মী পথে নেমে দিনভর যানবাহন চলাচল নিয়ন্ত্রণ করেছেন। যার ফলে এ দিন বেশি যানজট হয়নি। এই ব্যবস্থাই প্রতিদিন চলবে বলে জানিয়েছেন তিনি। শনিবারের অভিজ্ঞতার পরে রবিবার ছুটির দিন ছিল। তাই রাস্তাঘাটও তুলনামূলক ভাবে ফাঁকা ছিল। সেই কারণে কাজের প্রথম দিন, সোমবারের যানজট নিয়ন্ত্রণকে চ্যালেঞ্জ হিসাবে নিয়েছিল পুলিশ। যার প্রস্তুতিতে আগের রাতেই কোমর বেঁধে নামেন হাওড়া পুলিশের কর্তারা। রবিবার বেশি রাতে সিপি-সহ পদস্থ কর্তারা কোনা এক্সপ্রেসওয়ের হ্যাংস্যাং মোড়ে দাঁড়িয়ে সোমবারের পরিস্থিতি মোকাবিলার কৌশল নিয়ে আলোচনা করেন। তার পরে এ দিন সকালেই বিশাল বাহিনী নিয়ে পুলিশ কমিশনার নিজে পথে নামেন। প্রতিটি রাস্তার পরিস্থিতি দেখতে ওড়ানো হয় ড্রোন।

পুলিশ কমিশনার বলেন, ‘‘সেতুতে যাতে যানজট না হয়, তার জন্য বৈজ্ঞানিক ভিত্তিতে সময় মেপে দু’পাশ থেকে গাড়ি ছাড়ার ব্যবস্থা করা হয়। প্রয়োজন মতো স্কুল, কলেজ বা অফিসের ব্যস্ত সময়ে ছোট গাড়িও হ্যাংস্যাং মোড় থেকে দাশনগর-শানপুরের দিকে ঘুরিয়ে দেওয়া হয়। বিদ্যাসাগর সেতু থেকেও অনেক গাড়ি আন্দুল রোড দিয়ে জাতীয় সড়কের দিকে পাঠিয়ে দেওয়া হয়। এ জন্য ব্যস্ত সময়ে যানজট এড়ানো গিয়েছে। আগামী কয়েক দিন এ ভাবেই যান নিয়ন্ত্রিত হবে।’’

প্রবীণকুমারের দাবি, ১১৬ নম্বর জাতীয় সড়কমুখী গাড়ি বা কলকাতামুখী গাড়িগুলিকে সেতুতে ওঠার মুখে হয়তো ১০ থেকে ১৫ মিনিট দাঁড়াতে হচ্ছে, কিন্তু এই ভাবে যান নিয়ন্ত্রণ করায় কোথাও যানজট তীব্র আকার নেয়নি।

সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE