প্রতীকী চিত্র।
তিন মাসের ব্যবধানে হুগলির গুড়াপের কংসারিপুর মোড়ে দু’টি দুর্ঘটনায় প্রাণ গিয়েছে ১১ জনের। তা থেকে শিক্ষা নিয়ে সংলগ্ন এলাকাগুলি জুড়ে যান নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা ঢেলে সাজতে উদ্যোগী হয়েছে হুগলি জেলা (গ্রামীণ) পুলিশ। মৃত ওই ১১ জনের পরিবারের হাতে বৃহস্পতিবার বিকেলে দু’লক্ষ টাকা করে ক্ষতিপূরণের চেক তুলে দেন হুগলি জেলা সভাধিপতি রঞ্জন ধাড়া। বুধবারই মুখ্যমন্ত্রী এই ক্ষতিপূরণের কথা ঘোষণা করেন বলে সভাধিপতি জানান। মৃতদের মধ্যে তিন জন পূর্ব বর্ধমানের জামালপুরের।
গত মঙ্গলবারই দুর্ঘটনার পরে ‘স্পিড ব্রেকার’ বসানো হয়েছে কংসারিপুরে চুঁচুড়া-তারকেশ্বর ২৩ নম্বর রুটে। মোতায়েন করা হয়েছে ট্র্যাফিক পুলিশ। বৃহস্পতিবার পান্ডুয়া, বলাগড়, মগরা ও পোলবা থানা এলাকায় যান নিয়ন্ত্রণের জন্য সাব-ট্রাফিক অফিসের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন হল। মগরার কালীতলায় অসম লিঙ্ক রোডের ধারে অফিসটির উদ্বোধন করেন গ্রামীণ পুলিশ সুপার কামনাশিস সেন। তিনি বলেন, "মঙ্গলবারের ঘটনায় আমরা ব্যথিত। এমন দুর্ঘটনার পুনরাবৃত্তি এড়াতে ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। যানবাহন নিয়ন্ত্রণে পুলিশ তৎপর। বড় রাস্তায় টোটো নিয়ন্ত্রণ করা হবে।’’
মাস তিনেক আগে গুড়াপের ওই মোড়েই ইঞ্জিন ভ্যান ও ডাম্পারের সংঘর্ষে প্রাণ যায় চার শ্রমিকের। তিন জন ছিলেন পূর্ব বর্ধমানের জামালপুরের বাসিন্দা। একজন হুগলির। এরপরই দুর্গাপুর এক্সপ্রেসওয়ে লাগোয়া বাইপাসের একদিকে একটি ছোট 'হাম্প' বসায় পুলিশ। গত মঙ্গলবার একটি ডাম্পার সেই 'হাম্প' টপকে সেই মোড়েই একটি টোটোয় ধাক্কা
মারে। টোটোচালক ও টোটোর ছয় যাত্রী মারা যান।
মৃত ১১ জনের বাড়িতে গিয়ে ক্ষতিপূরণের চেক তুলে দেন জেলা সভাধিপতি। ছিলেন ধনেখালির বিধায়ক অসীমা পাত্রও। সভাধিপতি জানান, মুখ্যমন্ত্রী বুধবার টাকা দেওয়ার কথা ঘোষণা করেছিলেন। সেই মতো চেক তুলে দেওয়া হল। কিন্তু তিন মাস আগের মৃত্যুর ক্ষতিপূরণ লোকসভা ভোটের মুখে কেন? রঞ্জনের দাবি, ‘‘মঙ্গলবারের দুর্ঘটনার কথা জানতে পেরে নবান্ন রিপোর্ট চেয়ে পাঠায়। সেখানেই আগের দুর্ঘটনার কথা উল্লেখ করা হয়েছিল।"
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy