সাইকেলে চড়ে নজরদারি, রাতে হানা দুষ্কৃতীদের। গ্রাফিক: শৌভিক দেবনাথ
কয়েক মাস ধরে চুরি লেগেই ছিল হুগলির আরামবাগ, গোঘাট-সহ একাধিক এলাকায়। সেই সব ঘটনার তদন্তে নেমে কেঁচো খুঁড়তে কেউটের সন্ধান পেল পুলিশ। ওই ঘটনায় পুলিশের জালে ধরা পড়েছে উত্তরপ্রদেশের সাইকেল গ্যাং। তিন মহিলা-সহ চুরি চক্রের ১৪ জনকে গ্রেফতার করেছে হুগলি গ্রামীণ পুলিশ।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, গত ২৫ জানুয়ারি আরামবাগ শহরের ১৩ নম্বর ওয়ার্ডের শ্রীনিকেতনপল্লি থেকে সন্দেহের বশে পাঁচ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছিল। তারা আসবাবপত্রের ব্যবসা করার নামে একটি বাড়ি ভাড়া নিয়ে থাকত। তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করে কিছু চোরাই মালপত্র উদ্ধার করে পুলিশ। জেরা করে আরও কয়েক জনের সন্ধান মেলে। সব মিলিয়ে মোট ১৪ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তার মধ্যে তিন জন মহিলাও রয়েছেন। পুলিশ জানিয়েছে, ওই মহিলারা দলের বাকিদের চুরি করতে সাহায্য করতেন।
ধৃতদের থেকে উদ্ধার হয়েছে ৫০০ গ্রাম সোনার গয়না, দেড় কেজি রুপো, নগদ এক লক্ষ ৬০ হাজার টাকা। এ ছাড়া মিলেছে চারটে আগ্নেয়াস্ত্র, ৩৬ রাউন্ড কার্তুজ, বেশ কয়েকটি মোবাইল এবং সিম কার্ড উদ্ধার হয়েছে। পুলিশ ওই সিম কার্ড খতিয়ে দেখছে।
গত ডিসেম্বর মাসে গোঘাট, খানাকুলে সোনার দোকানে চুরির ঘটনা ঘটে। তদন্তে নেমে পুলিশ প্রথম জানতে পারে উত্তরপ্রদেশের সাইকেল গ্যাং এর কথা। আরামবাগ থেকে যাঁদের ধরা হয়েছে তাঁদের কাছে চারটি সাইকেল পাওয়া গিয়েছে। পাওয়া গিয়েছে বৈদ্যুতিক কাটারও। পুলিশের দাবি, ধৃতেরা দিনের বেলা সাইকেলে চড়ে বিভিন্ন জায়গা ঘুরে দেখতেন। পুলিশের মতে, মূলত গয়নার দোকান এবং বড়সড় বাড়িকে নিশানা করত ওই গ্যাংটি। গভীর রাতে হানা দিত তারা।
হুগলি গ্রামীণের পুলিশ সুপার আমনদীপ বলেন, ‘‘চুরির জন্য ছোট ইলেকট্রিক কাটার ব্যবহার করা হত। যে বাড়ি বা দোকানে তারা চুরি করত সেখানেই বিদ্যুৎ সংযোগ খুঁজে নিয়ে ইলেকট্রিক কাটার ব্যবহার করত ওই গ্যাংটি। তাদের ইনফর্মার হিসাবে স্থানীয় কেউ ছিল কি না তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।’’ পাশাপাশি হুগলি ছাড়াও রাজ্যের আর কোথাও ওই গ্যাংটি হানা দিয়েছিল কি না তা-ও ধৃতদের থেকে জানার চেষ্টা করছে পুলিশ।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy