— ফাইল চিত্র।
মঙ্গলবার ছত্তীসগঢ়ে নিরাপত্তারক্ষীদের সঙ্গে সংঘর্ষে নিহত হন ন’জন মাওবাদী। জঙ্গলে আত্মগোপন করে ছিলেন তাঁরা। এ বার পুলিশ সূত্রে জানা গেল, তাঁদেরই এক জনের মাথার দাম ছিল ২৫ লাখ টাকা!
নিহত নেতার নাম মাচারেলা ইয়েসোবু। ১৯৮৮ সাল থেকেই তিনি নকশাল আন্দোলনের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। দন্তেওয়াড়া পুলিশের এক কর্মকর্তা জানাচ্ছেন, তাঁরই মাথার দাম ছিল ২৫ লাখ টাকা। অন্ধ্রপ্রদেশের ওয়ারাঙ্গলের বাসিন্দা ছিলেন মাচারেলা। দলে তাঁর নাম ছিল ‘রানাডের’।
পুলিশের ওই কর্মকর্তা বলেন, ‘‘মাচারেলা দণ্ডকারণ্য স্পেশাল জ়োনাল কমিটির সদস্য ছিলেন। তাঁর সম্পর্কে আরও তথ্য খুঁজছে পুলিশ।’’
আগেই গোপন সূত্রে মিলেছিল ছত্তীসগঢ়ের দন্তেওয়াড়া এবং বিজাপুর জেলার সীমানার জঙ্গলে প্রায় ৪০ জন মাওবাদীর লুকিয়ে থাকার খবর। এর পরেই তাঁদের ধরতে শুরু হয় চিরুনি তল্লাশি। মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ১০টা নাগাদ ‘এনকাউন্টার’ অভিযান শুরু করে নিরাপত্তারক্ষী, সিআরপিএফ এবং বস্তার ফাইটার্সের যৌথ দল। দু’পক্ষের শুরু হয় গুলির লড়াই। সংঘর্ষে মৃত্যু হয় ন’জনের। নিহতদের সকলেই মাওবাদী সংগঠন পিপল্স লিবারেশন গেরিলা আর্মির (পিএলজিএ) সদস্য। তাঁদের দেহগুলি উদ্ধার করা হয়েছে। নিহতদের মধ্যে ছ’জনই মহিলা। তাঁদের ডেরা থেকে উদ্ধার হয়েছে প্রচুর আগ্নেয়াস্ত্রও।
প্রসঙ্গত, পরিসংখ্যান বলছে, গত ১০ বছরে মাওবাদীদের হাতে নিহত হয়েছিলেন ছ’হাজার ৬১৭ জন নিরাপত্তা কর্মী এবং সাধারণ নাগরিক। তবে সেই সংখ্যা এখন ৭০ শতাংশ কমেছে। গত সপ্তাহেও ছত্তীসগঢ়ের বিজাপুর জেলায় মাওবাদীদের হানায় প্রাণ হারিয়েছেন তিন জন গ্রামবাসী। পুলিশের গুপ্তচর সন্দেহে হত্যা করা হয় তাঁদের। মাওবাদী কার্যকলাপ দমনের লক্ষ্যে গত মাসেই একটি আন্তঃরাজ্য সমন্বয় বৈঠকে ছত্তীসগঢ়ের মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করেছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। শাহের দাবি, আগামী দু’বছরেরও কম সময়ে দেশ থেকে সম্পূর্ণ নির্মূল হবে মাওবাদী কার্যকলাপ। তিনি জানান, তাঁদের চিহ্নিত করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দেওয়ার পাশাপাশি আত্মসমর্পণ নীতিতেও আনা হবে বদল।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy