প্রতীকী ছবি।
সময়সীমা ১৫ ফেব্রুয়ারি। অর্থাৎ, আগামী সোমবার। তার মধ্যে উচ্চ মাধ্যমিকের ছাত্রছাত্রীদের ট্যাব কেনার রসিদ শিক্ষা দফতরে জমা দিতে হবে স্কুল কর্তৃপক্ষকে। অথচ, হাওড়ার বেশ কিছু হাইমাদ্রাসার ছাত্রছাত্রীরা এখনও ট্যাব কেনার সরকারি টাকাই পেল না। এর ফলে, ওই সব মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষ চিন্তায় পড়েছেন। সংশয়ে ছাত্রছাত্রী এবং তাঁদের অভিভাবকেরা।
করোনা পরিস্থিতিতে দ্বাদশ শ্রেণির পঠনপাঠন যাতে ক্ষতিগ্রস্ত না হয় সে জন্য প্রত্যেক ছাত্রছাত্রীকে ট্যাব কেনার জন্য ১০ হাজার টাকা করে দিচ্ছে রাজ্য সরকার। ছাত্রছাত্রীদের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে সরাসরি টাকা চলে যাচ্ছে। ইতিমধ্যে হাওড়ার প্রায় সব স্কুল এবং কয়েকটি হাইমাদ্রাসার ছাত্রছাত্রীরা টাকা পেয়েছে। কিন্তু বেশির ভাগ হাইমাদ্রাসার ছাত্রছাত্রীরা টাকা পায়নি। ফলে, তাঁদের অনলাইন পঠনপাঠন ব্যাহত হচ্ছে। হাওড়ায় হাইমাদ্রাসার সংখ্যা ১৬।
বাগনান খাজনাবাহালা হাইমাদ্রাসার প্রধান শিক্ষক মনিরুল ইসলামের খেদ, ‘‘শিক্ষা দফতরের নির্দেশমতো তড়িঘড়ি ছাত্রছাত্রীদের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট নম্বর পাঠিয়েছি। কিন্তু টাকা ঢোকেনি। ছাত্রছাত্রীরা প্রতিদিন ফোনে কিংবা মাদ্রাসায় এসে জিঞ্জাসা করছে কবে ট্যাব কেনার টাকা ব্যাঙ্কে ঢুকবে। সঠিক উত্তর দিতে পারছি না।’’
উলুবেড়িয়া রংমহল ক্বোরানিয়া হাইমাদ্রাসার প্রধান শিক্ষক আনিসুর রহমান মল্লিক বলেন, ‘‘ছাত্রছাত্রী ও অভিভাবকদের কাছে লজ্জায় পড়ে যাচ্ছি। তাঁরা মাদ্রাসায় এসে ক্ষোভ প্রকাশ করছেন। কবে শিক্ষা দফতর ট্যাব কেনার টাকা পাঠাবে বুঝতে পারছি না। অথচ, রসিদ জমা দেওয়ার দিন এগিয়ে আসছে।’’
শিক্ষা দফতর অবশ্য অভয় দিচ্ছে। জেলা সহকারী বিদ্যালয় পরিদর্শক (মাদ্রাসা) দীপঙ্কর দাস জানিয়েছেন, বিষয়টি দফতরের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে। সকলকেই টাকা দেওয়া হবে। অনেক ছাত্রছাত্রীর অ্যাকাউন্টে টাকা ঢুকতে শুরু করেছে। শীঘ্রই সকলের অ্যাকাউন্টে টাকা চলে যাবে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy