ফাইল চিত্র।
আরও বেশি মানুষের কাছে চিকিৎসা পরিষেবা পৌঁছে দিতে পঞ্চায়েত এলাকার মতো পুর এলাকাতেও তৈরি হবে সুস্বাস্থ্য কেন্দ্র। হাওড়া পুর এলাকায় এমন ১১টি সুস্বাস্থ্য কেন্দ্র তৈরি করা হবে। হাওড়া পুরসভা সূত্রের খবর, প্রতি ১৫ হাজার জনসংখ্যার জন্য একটি করে সুস্বাস্থ্য কেন্দ্র তৈরি হবে। এর জন্য জায়গা দেখার কাজ চলছে। পুরসভার সঙ্গে রাজ্য স্বাস্থ্য দফতর এই কাজ করবে বলে জেলা স্বাস্থ্য দফতর সূত্রেজানা গিয়েছে।
এত দিন হাওড়া পুর এলাকায় প্রাথমিক উপ-স্বাস্থ্যকেন্দ্রগুলির মাধ্যমে স্বাস্থ্য পরিষেবা দেওয়া হত। কিন্তু শহরাঞ্চলে জনসংখ্যা বৃদ্ধির সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে রোগীর সংখ্যাও। এর ফলে সরকারি হাসপাতালগুলিতে ক্রমশ রোগীর চাপ বাড়ছে। সেই চাপ কমাতে এ বার রাজ্যের অন্যান্য জেলার মতো হাওড়াতেও সুস্বাস্থ্য কেন্দ্র তৈরির জন্য পুরসভাকে নির্দেশ দিয়েছে রাজ্য স্বাস্থ্য দফতর।
হাওড়া পুর প্রশাসকমণ্ডলীর চেয়ারপার্সন সুজয় চক্রবর্তী বলেন, ‘‘সরকারি হাসপাতাল এবং পুরসভার উপ-স্বাস্থ্যকেন্দ্রগুলির মাঝামাঝি জায়গায় ওই সুস্বাস্থ্য কেন্দ্র তৈরি করা হবে। মূলত রোগীর চাপ কমাতেই তৈরি করা হচ্ছে এগুলি। এখানে চিকিৎসক, নার্স, স্বাস্থ্যকর্মী, ফার্মাসিস্ট থাকবেন, দেওয়া হবে কিছু ওষুধও। প্রতিদিন বেলা ১১টা থেকে দুপুর ৩টে পর্যন্ত সেখানে চিকিৎসার জন্য রোগীরা আসতে পারবেন।’’
সুজয়বাবু আরও জানান, এই কেন্দ্র তৈরির জন্য বর্তমানে জায়গা দেখার কাজ চলছে। পুরসভার নিজস্ব জায়গা ও হাওড়া উন্নয়ন নিগমের জায়গায় এই কেন্দ্রগুলি তৈরির ভাবনাচিন্তা করা হচ্ছে। তবে এর পাশাপাশি কোনও ক্লাব বা বাড়ি ভাড়ায় দিতে চাইলে পুরসভা তাঁদের মাসে ২০ হাজার টাকা করে দেবে। এই সুস্বাস্থ্য কেন্দ্রগুলিতে শুধু প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়াই নয়, পরবর্তী কালে সেখানে বিশেষ চিকিৎসা পরিষেবা দেওয়ারও পরিকল্পনা রয়েছে বলে জানিয়েছেন চেয়ারপার্সন।
এই ব্যাপারে হাওড়া জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক নিতাইচন্দ্র মণ্ডল বলেন, ‘‘সুস্বাস্থ্য কেন্দ্র তৈরির জন্য পুরসভাকে জায়গা দিতে বলা হয়েছে। ধাপে ধাপে এই কেন্দ্রগুলি তৈরি হবে। এতে মানুষের কাছে চিকিৎসা পরিষেবা পৌঁছনো আরও সহজ হবে।’’
এ ছাড়াও হাওড়া পুরসভার ১৯টি প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্র থেকে যাতে আরও ভাল ভাবে পরিষেবা দেওয়া যায়, সে জন্য উদ্যোগী হয়েছেনপুর কর্তৃপক্ষ এবং জেলা স্বাস্থ্য দফতর। এক দিকে যেমন প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রগুলি থেকে ওষুধের সরবরাহ বৃদ্ধি করা হবে, তেমনই সপ্তাহে এক দিন পুরসভার এই প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রগুলিতে স্বাস্থ্য শিবিরের আয়োজনও করা হবে। সেখানে পুর স্বাস্থ্যকর্মীরা বিনামূল্যে বিভিন্ন পরীক্ষা-নিরীক্ষা করবেন। এখানে থ্যালাসেমিয়ার মতো পরীক্ষাও করানো হবে।
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, Twitter এবং Instagram পেজ।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy