—প্রতিনিধিত্বমূলক ছবি।
বিয়ের পিঁড়ি সাজানো থেকে শুরু করে রান্নাবান্না সব আয়োজনই করে ফেলেছে পাত্রীপক্ষ। অপেক্ষা তখন গায়ে হলুদের। কিন্তু পাত্রের বাড়ি থেকে হলুদ আসতে কেন এত দেরি? খোঁজ নিতে গিয়েই মাথায় আকাশ ভেঙে পড়ল পাত্রীর বাবা-মায়ের। খবর পেলেন, হবু জামাইকে আটক করেছে পুলিশ। অভিযোগ ধর্ষণের। শেষ মুহূর্তে মেয়ের বিয়ে ভেঙে যাওয়ায় কান্নায় ভেঙে পড়েন পাত্রীর মা। বিয়েবাড়িতে আসা নিমন্ত্রিতেরা বাড়ি ফিরলেন মন খারাপ নিয়ে। হুগলির বৈদ্যবাটির ঘটনা।
বৈদ্যবাটির বাসিন্দা সংযুক্তার (নাম পরিবর্তিত) সঙ্গে ত্রিবেণীর বাসিন্দা বিকাশ অধিকারীর (নাম পরিবর্তিত) বিয়ে ছিল সোমবার। পাত্রীর পরিবার সূত্রে খবর, গত বছর নভেম্বর মাসে মেয়ের বিয়ের জন্য দেখাশোনা শুরু হয়। বিয়ের পাকা কথা হয় ত্রিবেণীর অধিকারী বাড়ির এক ছেলের সঙ্গে। সোমবার সকালে গায়ে হলুদের তোড়জোড় চলছিল। অতিথিদের জন্য রান্নাবান্নার সমস্ত রকম আয়োজনও শেষ। কিন্তু ছেলের বাড়ি থেকে গায়ের হলুদ আসছে না দেখে খোঁজখবর শুরু করে মেয়ের পরিবার। বেলা বাড়ছিল। তার সঙ্গে টেনশন বাড়ছিল পাত্রীপক্ষের। শেষে দুপুর ২টো নাগাদ ছেলের বাড়ি থেকে হলুদ নয়, এল ফোন। তাতে জানানো হয় পুলিশ পাত্রকে আটক করে নিয়ে গিয়েছে। পরে জানা যায়, তিনি গ্রেফতার হয়েছেন। কিন্তু গ্রেফতারির কারণ জানানো হয়নি ফোনে। সঙ্গে সঙ্গে মেয়ের পরিবার মেয়েকে নিয়ে হাজির হয় ছেলের বাড়িতে। কিন্তু সেখানে গিয়ে তাঁরা যা শোনেন, তার পর আর ওই পাত্রের সঙ্গে বিয়ে দেওয়ার কথা ভাবতে পারেননি।
পুলিশ সূত্রে খবর, ন’বছর ধরে এলাকার এক যুবতীর সঙ্গে সম্পর্ক ছিল অভিযুক্তের। বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে সহবাসের অভিযোগ ওঠে তাঁর বিরুদ্ধে। রবিবার রাতেই অভিযোগকারিণী থানায় ধর্ষণের অভিযোগ দায়ের করেন। সেই অভিযোগের ভিত্তিতে সকালে অভিযুক্তকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
পুরো ঘটনায় ফুঁসছে পাত্রীর পরিবার। পাত্রীর মা কমলা দেবী (নাম পরিবর্তিত) বলেন, ‘‘বক্স খাট, আলমারি থেকে আরও যা যা যৌতুক চেয়েছিল ছেলে, সেই মতো সবই কেনা হয়েছে। এত আয়োজন, আত্মীয়-স্বজন নিমন্ত্রিত। আমাদের অনেক টাকা খরচ হল। মানসম্মানও হানি হল। আমরা শাস্তি চাই ওই যুবকের।’’ অন্য দিকে, পাত্রপক্ষ আর কোনও মন্তব্য করতে রাজি হয়নি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy