উত্তেজিত জনতার সঙ্গে কথা পুলিশের। ইনসেটে, প্রতিমা। নিজস্ব চিত্র
চিকিৎসার গাফিলতিতে এক মহিলার মৃত্যুর অভিযোগে মঙ্গলবার রাতে হাওড়ার বড়গাছিয়ার একটি নার্সিংহোমে ভাঙচুর চালাল জনতা। বুধবার সকালে রাস্তায় দেহ রেখে বড়গাছিয়া-হাঁটাল রোড অবরোধ করা হয়। জগৎবল্লভপুর থানার পুলিশ এবং র্যাফ এসে পরিস্থিতি সামাল দেয়। পুলিশ জানায়, কোনও পক্ষই থানায় লিখিত অভিযোগ করেনি। গাফিলতির অভিযোগ মানেননি নার্সিংহোম কর্তৃপক্ষ।
পুলিশ জানায়, মৃতের নাম প্রতিমা পাঁজা (৪৫)। বাড়ি বড়গাছিয়ার মানসিংহপুরে। মঙ্গলবার সন্ধ্যায় কলকাতার এসএসকেএম হাসপাতালে তিনি মারা যান। পুলিশ ও পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, টিউমারের সমস্যা নিয়ে গত রবিবার প্রতিমাকে ওই নার্সিংহোমে ভর্তি করা হয়েছিল। সোমবার অস্ত্রোপচার হয়। আত্মীয়দের অভিযোগ, এর পর থেকে শারীরিক অবস্থার অবনতি হতে থাকে। রোগীকে কলকাতায় স্থানান্তরিত করার জন্য তাঁরা বার বার অনুরোধ করেন। অভিযোগ, সে কথা শোনা হয়নি।
মঙ্গলবার বিকেলে পাঠানো হয় এসএসকেএমে। সন্ধ্যায় সেখানেই তিনি মারা যান। খবর পৌঁছতেই গাফিলতির অভিযোগ তুলে নার্সিংহোমে চড়াও হয় জনতা। রোগীর অবস্থা সঙ্কটজনক হলেও কেন আগে কলকাতায় পাঠানো হল না, সেই প্রশ্ন তোলা হয়। কম্পিউটার, টেবিল, চেয়ার, চিকিৎসার সরঞ্চাম, মোটরবাইক ভাঙচুর করা হয় বলে অভিযোগ। বুধবার সকাল ১০টা নাগাদ দেহ নিয়ে অবরোধ করা হয়। নার্সিংহোম বন্ধ করে দিতে হবে বলে দাবি তোলেন বিক্ষোভকারীরা। নার্সিংহোমের ওষুধের দোকানের শাটার বন্ধ করে দেন কর্তৃপক্ষ। পুলিশের হস্তক্ষেপে বেলা সাড়ে ১১টা নাগাদ অবরোধ ওঠে।
নার্সিংহোমের এক কর্তার বক্তব্য, ‘‘কোনও গাফিলতি হয়নি। রোগীর অবস্থা খারাপ থাকায় স্থানান্তরিত করা হয়। তার পরে কী হয়েছে, খতিয়ে দেখতে হবে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy