বলাগড়ে গঙ্গাগর্ভে তলিয়ে যাচ্ছে জমি। নিজস্ব চিত্র।
বর্ষার শুরুতেই গঙ্গার ভাঙনের কবলে হুগলি জেলার বলাগড় ব্লকের বিস্তীর্ণ এলাকা। আগেই গঙ্গার ভাঙনে পরে জলে মিশে গিয়েছে চাষের জমি, রাস্তা, বসত বাড়ি, স্কুল। বলাগড় ব্লকের ৯টি গ্রাম পঞ্চায়েত ভাঙন কবলিত। চন্দ্রহাটি-১ এবং ২, ডুমুরদহ, নিত্যানন্দপুর-১ এবং ২, খামারগাছি, জিরাট, সোমড়াজাবার, গুপ্তিপাড়া-১ এবং ২ গ্রাম পঞ্চায়েতের বেশ কিছু এলাকা গঙ্গার ভাঙনের পরে নদী গর্ভে তলিয়ে গিয়েছে ইতিমধ্যেই। বর্ষায় গোড়ায় ফের নদীর আগ্রাসী রূপ ক্ষতি আরও বাড়াবে বলে আশঙ্কা এলাকাবাসীর।
বলাগড়ে ভাঙনের সমস্যা দীর্ঘদিনের। স্থানীয় স্তরে বোল্ডার তারের জালে বেঁধে ভাঙন রোধের চেষ্টা হয়েছে বেশ কয়েকবার। কিন্তু স্থানীয়দের অভিযোগ তাতে কোনও কাজ হয়নি। স্থায়ী ভাবে এর সমাধান করতে হলে কেন্দ্রের সাহায্য প্রয়োজন বলে মনে করেন বলাগড়ের তৃণমূল বিধায়ক মনোরঞ্জন ব্যাপারী। তাঁর কথায়, ‘‘ভাঙন রুখতে যে পরিমাণ অর্থের প্রয়োজন, তা রাজ্যের হাতে নেই। তাই কেন্দ্রের সাহায্য প্রয়োজন।’’
তিনি জানিয়েছেন, বর্ষা শুরু হতেই নতুন করে ভাঙন দেখা দিয়েছে চাঁদরা, চর খয়রামারি, গোপালপুর,পারনপুর, হাতিকান্দা-সহ বেশ কয়েকটি গ্রামে। বিধায়ক বলেন, ‘‘বলাগড়ের ভাঙন একটা বড় সমস্যা। সেটা নিয়ে আমি চিন্তিত আছি। বলাগড় ব্লকটাকে বাঁকা কাস্তের মত ঘিরে রেখেছে গঙ্গা। এই ভাঙন রোধে সুনির্দিষ্ট পরিকল্পনা গ্রহণ করা এবং কাজের জন্য যে বাজেটের প্রয়োজন তা কেন্দ্রীয় সরকারই পারে। এতদিন কোনও পরিকল্পনা গৃহীত হয়নি। আমরা কেন্দ্রের উপর চাপ সৃষ্টি করতে পারি। বিধানসভা অধিবেশন বসলে বলাগড়ের ভাঙনের প্রসঙ্গ তুলব।’’
ভাঙন নিয়ে স্থানীয় বাসিন্দাদের দুশ্চিন্তা আর ক্ষোভের কথা বলেছেন হুগলির বিজেপি সাংসদ লকেট চট্টোপাধ্যায়। তিনি বলেন, ‘‘ব্লক থেকে প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। আমি দেখছি কেন্দ্র থেকে ভাঙন রোধে কী কী ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে এবং আগামী দিনে কী ব্যবস্থা নেওয়া হবে তা চিঠি দিয়ে জানব। গঙ্গার ভাঙন মোকাবিলায় আগামী দিনে সকলকে এক সঙ্গে কাজ করতে হবে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy