কারখানায় টিন টিন ভেজাল তেলের হদিশ পান আধিকারিকরা। নিজস্ব চিত্র
ভেজাল সর্ষে তেল তৈরির কারখানায় অভিযান চালাল কলকাতা পুলিশের এনফোর্সমেন্ট ব্রাঞ্চ। সোমবার কয়েক লক্ষ টাকার ভেজাল সর্ষের তেল বাজেয়াপ্ত করে সিল করা হল কারখানা। পুলিশ সূত্রে খবর, হাওড়ার ৬ নম্বর জাতীয় সড়ক সংলগ্ন জালান কমপ্লেক্সে এই ভেজাল তেল তৈরির কারখানায় হদিশ পাওয়া মেলে। এর পর ডোমজুড় থানার পুলিশের সহযোগিতায় অভিযান চালান কলকাতা পুলিশের এনফোর্সমেন্ট ব্রাঞ্চের আধিকারিকরা। আটক করা হয় প্রচুর পরিমাণ ভেজাল ভোজ্য তেল। মূলত সর্ষে তেলের সঙ্গে সস্তার রাইসব্র্যান তেল মিশিয়ে ওই কারখানা থেকে ছড়িয়ে পড়ত বাজারে। এর আগে কলকাতায় একটি কারখানায় প্রথম এই ধরনের ভেজাল তেলের কারখানার সন্ধান পায় পুলিশ । সেই সূত্র ধরে নরেন্দ্রপুরের একটি কারখানায় হানা দেন কলকাতা পুলিশের এনফোর্সমেন্ট ব্রাঞ্চের আধিকারিকরা। তার পর হাওড়ার ডোমজুড়ের এই কারখানায় অভিযান চালাল কলকাতা পুলিশের এনফোর্সমেন্ট ব্রাঞ্চ।
সোমবার হাওড়ার ডোমজুড়ের জালান কমপ্লেক্সের এই কারখানায় অভিযান চালিয়ে ১৫ কেজি পরিমাণের ১,১৫০টি টিন তেল-সহ ১৩ হাজারের বেশি এক লিটারের সর্ষে তেলের পাউচ আটক করেছে এনফোর্সমেন্ট ব্রাঞ্চ। এ ছাড়াও একটি ট্যাঙ্কে ভর্তি থাকা প্রায় ন’টন রাইসব্র্যান তেল মেশানো সর্ষে তেলও আটক করা হয় বলে জানিয়েছেন কলকাতা পুলিশের এনফোর্সমেন্ট ব্রাঞ্চের ওসি (ফুড) যুগল কিশোর। তিনি জানান, মূলত ৪০ ভাগ সরষের তেলের সঙ্গে প্রায় ৬০ ভাগ সস্তার রাইসব্র্যান তেল মেশান হত এই কারখানায়।
সকাল থেকে অভিযান শুরু করেন কলকাতা পুলিশের এনফোর্সমেন্ট ব্রাঞ্চের আধিকারিকরা। প্রচুর পরিমাণ নমুনা সংগ্রহ করা হয়। নমুনা পরীক্ষার পর ওই কারখানার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে কলকাতা পুলিশের এনফোর্সমেন্ট ব্রাঞ্চ সূত্রে খবর। আপাতত এই কারখানাটি বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। প্রসঙ্গত, কেন্দ্রীয় সরকারের নির্দেশিকা অনুযায়ী, কোনও ভোজ্য তেলের সঙ্গে অন্য ভোজ্য তেল মেশানো যাবেনা। এমন তেলের ব্যবহারে নানা শারীরিক সমস্যা দেখা দিতে পারে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy