অস্ত্রপচারের আগে আহত যুবক। —নিজস্ব চিত্র।
ঘুড়ির সুতোয় কার্যত বিচ্ছিন্ন হয়ে যাওয়া শ্রীরামপুরের যুবকের আঙুল জোড়া লাগালেন চিকিৎসকেরা। শনিবার সকালে কলকাতার বালিগঞ্জ ফাঁড়ি এলাকার একটি নার্সিংহোমে তাঁর অস্ত্রোপচার হয়। পার্থ বৈরাগী নামে শ্রীরামপুরের একটি ডায়াগনস্টিক সেন্টারের কর্মী ওই যুবক শুক্রবার বিকেলে স্কুটারে চেপে বৈদ্যবাটীতে যাচ্ছিলেন এক জনের রক্তের নমুনা সংগ্রহের জন্য। সেই সময় শ্রীরামপুর উড়ালপুলে ঘুড়ির ধারালো সুতোয় তাঁর ডান হাতের কড়ে আঙুলের ওই পরিণতি হয়। নিষিদ্ধ চিনা মাঞ্জায় ওই অবস্থা হয় বলে অভিযোগ।
ডায়াগনস্টিক সেন্টার কর্তৃপক্ষ জানান, ওই যুবককে শ্রীরামপুর ওয়ালশ হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসার পরে দ্রুত কলকাতার এসএসকেএম হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। তবে সেখানে ভর্তি করা সম্ভব হয়নি। ভর্তির অনিশ্চয়তার কথা ভেবে পাছে বেশি সময় নষ্ট হয়, সে জন্য অন্য আর কোনও সরকারি হাসপাতালে তাঁকে নিয়ে না গিয়ে বালিগঞ্জের ওই নার্সিংহোমে ভর্তি করানো হয়। সেখানেই শনিবার সকালে প্লাস্টিক সার্জারি করা হয়। তাঁর ঊরু থেকে চামড়া কেটে আঙুলের ক্ষতস্থানে লাগানো হয়।
শ্রীরামপুর উড়ালপুলে ঘুড়ির সুতোয় মোটরবাইক আরোহীর জখম হওয়ার ঘটনা এটিই একমাত্র নয়। ঘুড়ির সুতো আচমকা সাইকেল বা মোটরবাইক আরোহীর গায়ে এসে পড়া আটকাতে উড়ালপুলের দু’পাশে উঁচু রেলিং অর্থাৎ ফেন্সিং বসানো নিয়ে পুলিশ এবং পুরসভা পরস্পরের সঙ্গে কথা বলবে বলে জানিয়েছে। বিষয়টি গুরুত্ব দিয়ে দেখার আশ্বাস দিয়েছেন প্রশাসনের এক কর্তাও। শনিবার তিনি বলেন, ‘‘বিষয়টি খতিয়ে দেখে সংশ্লিষ্ট দফতরের সঙ্গে এ ব্যাপারে কথা বলব।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy