Advertisement
০৫ নভেম্বর ২০২৪
Solar power Panel

অঙ্গনওয়াড়িতে সৌরবিদ্যুৎ ব্যবহারে জোর

ব্লক প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, ইতিমধ্যে বিদ্যুৎ এবং পানীয় জলের সমস্যা থাকা ৪৬টি অঙ্গনওয়াড়ি চিহ্নিত করে সেখানে সোলার প্যানেল বসানো হয়েছে।

দমদমা সাঁওতালপাড়া অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রে বসানো হয়েছে এমনই সোলার প্যানেল।

দমদমা সাঁওতালপাড়া অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রে বসানো হয়েছে এমনই সোলার প্যানেল। —নিজস্ব চিত্র।

নিজস্ব সংবাদদাতা
গোঘাট শেষ আপডেট: ১৭ নভেম্বর ২০২৩ ০৫:৫৯
Share: Save:

প্রতিটি অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রে পরিস্রত পানীয় জল নিশ্চিত করতে নলকূপ-সহ (সাবমার্সিবল) পাম্প এবং বিদ্যুতের ব্যবস্থা হচ্ছে কেন্দ্রীয় পঞ্চদশ অর্থ কমিশনের ‘টায়েড’ তথা শর্তাধীন তহবিলে। এ ক্ষেত্রে পরিবেশবান্ধব সৌরবিদ্যুৎ ব্যবহারেই বিশেষ জোর দিতে বলা হয়েছে গ্রামোন্নয়ন দফতর থেকে। গোঘাট ১ ব্লকের পঞ্চায়েত এলাকাগুলিতে সেই কাজ ইতিমধ্যে শুরুও হয়ে গিয়েছে।

বিডিও সম্রাট বাগচী বলেন, “প্রকল্পগুলির কোনওটি পঞ্চায়েত, কোনওটি পঞ্চায়েত সমিতি রূপায়ণ করছে। যে হেতু, পঞ্চদশ অর্থ কমিশন থেকে সব ক্ষেত্রে পরিস্রুত পানীয় জলের ব্যবস্থার বিধান আছে, সেই মতো আমাদের লক্ষ্য অঙ্গনওয়াড়িগুলি ছাড়াও স্কুল, পঞ্চায়েত ভবন ইত্যাদি সকলের ব্যবহারের জায়গাগুলিতেও নিরাপদ পানীয় জল নিশ্চিত করা।”

ব্লক প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, ইতিমধ্যে বিদ্যুৎ এবং পানীয় জলের সমস্যা থাকা ৪৬টি অঙ্গনওয়াড়ি চিহ্নিত করে সেখানে সোলার প্যানেল বসানো হয়েছে। সেগুলিতে সৌরবিদ্যুৎ চালিত পাম্প চালিয়ে জল সরবরাহও শুরু হয়েছে। চলতি বছরে অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্র এবং স্কুল মিলিয়ে আরও ১৮টি জায়গায় সাব-মার্সিবল এবং সৌরবিদ্যুতের ব্যবস্থা হচ্ছে। অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রগুলির ক্ষেত্রে সোলার প্যানেল বসাতে বরাদ্দ ১ লক্ষ ৩২ হাজার টাকা এবং সাবমার্সিবলের জন্য ১ লক্ষ ১৩ হাজার।

সৌরবিদ্যুতের সুফল ভোগ করা অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রগুলির মধ্যে গোঘাটের দমদমা আদিবাসীপাড়ার ১১ নম্বর কেন্দ্রের কর্মী শুভ্রা কর্মকার, গোঘাট গ্রামের মহাপ্রভু কেন্দ্রের (১৫ নম্বর) অঞ্জলি রায় প্রমুখ জানান, অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রে টিউবওয়েল থাকলে তা হামেশাই খারাপ হত। অগভীর নলকূপের জলের গুণমান নিয়ে প্রশ্ন উঠত। এখন পরিস্রুত পানীয় জল মিলছে। তবে, একটাই সমস্যা চারটি করে মাত্র প্যানেলে জলের ট্যাঙ্ক ভর্তি ছাড়া ভিতরে আলো বা পাখার ব্যবস্থা হয়নি। সকালে কেন্দ্র হওয়ায় আলোটা গুরুত্বপূর্ণ না হলেও গরমে পাখা ঘোরার ব্যবস্থা হলে শিশুদের সুবিধা হত।

জেলা গ্রামোন্নয়ন দফতরের এক কর্তা বলেন, “জেলার সব ক’টি ব্লক এলাকাতেই সৌরবিদ্যুৎ ব্যবহারে বিশেষ গুরুত্ব দিতে বলা হয়েছে। এই ব্যবস্থায় একদিকে দূষণ নিয়ন্ত্রণ, অন্যদিকে পঞ্চায়েতগুলিতে বিপুল পরিমাণ বকেয়া বিদ্যুৎ বিল পরিশোধ নিয়ে যে সমস্যা হয়, তা থাকবে না।”

অন্য বিষয়গুলি:

Anganwadi center Goghat
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE