এ বার শীতের মরসুমে হুগলি জেলার গ্রাম থেকে শহরের বিভিন্ন বাজারে ক্রেতার মন কেড়েছে রঙিন ফুলকপি।
কয়েক বছর আগে পরীক্ষামূলক ভাবে কল্যাণী বিশ্ববিদ্যালয়ে রঙিন ফুলকপির চাষ শুরু হয়। বর্তমানে চাহিদা বাড়ায় সাধারণ চাষিরাও বেশ কিছু জায়গায় এই বছর রঙিন ফুলকপি চাষ করেছেন। সবুজ, বেগুনি, হলুদ, কমলা রঙের ফুলকপি শোভা পাচ্ছে আনাজের সংসারে।
বিশেষজ্ঞদের দাবি, বাহারি রঙ শুধু নয়, এই ধরনের কপিতে ভিটামিন, অ্যান্টি অক্সিডেন্ট এবং অন্যান্য খাদ্যগুণ মজুত থাকে। ফলে তা স্বাস্থ্যকর। হলুদ ফুলকপিতে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টি অক্সিডেন্ট, বিটা-ক্যারোটিন এবং ভিটামিন সি থাকে। প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন-এ থাকে। ফলে সাদা ফুলকপির তুলনায় পুষ্টিগুণ রঙিন ফুলকপিতে বেশি বলে দাবি অনেকের।
ধনেখালির চাষি কাশীনাথ পাত্র অবশ্য বলেন, ‘‘রঙিন কপির বীজের যা দাম, সেই তুলনায় বিক্রি করে দাম মিলছে না। পাইকারদের কাছ থেকে সস্তায় কপি নিয়ে গিয়ে এক শ্রেণির ফড়ে রঙিন কপি বেশি লাভে বিক্রি করছে। ফলে চাষি যে আশা করেছিলেন, সেই দাম পাচ্ছেন না। দাম পেলে এই কপির চাষে আগ্রহ বাড়বে।’’
(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)