দোকানে লাগানো সিসিটিভিতে ধরা পড়েছে ডাকাতির ঘটনা। — ছবি: সংগৃহীত।
রানিগঞ্জের সোনার দোকানে ডাকাতির ঘটনার রেশ কাটার আগেই কার্যত একই কায়দায় ডাকাতির ঘটনা ঘটল হাওড়ার ডোমজুড়ে। মঙ্গলবার বেলা সাড়ে বারোটা নাগাদ চার সশস্ত্র দুষ্কৃতী ওই সোনার দোকানে ঢোকে। তার পর বন্দুকের কুঁদো দিয়ে মারধর করে কর্মীদের বেঁধে ফেলে লুটপাট চালায়। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। যদিও ঠিক কত টাকার সোনাদানা লুট হয়েছে তা এখনও হিসাব করে ওঠা যায়নি। পুলিশ সূত্রে খবর, ডাকাতদের ধরতে বিভিন্ন এলাকায় নাকা চেকিং শুরু করে দেওয়া হয়েছে।
দোকানের কর্মী শ্রেয়া সামন্ত বলেন, ‘‘ওরা দু’জন ঢুকেছিল। গয়না দেখাচ্ছিলাম তাদের। তার পর আরও দু’জন ঢুকল। ওই দু’জন ঢোকার পরেই অ্যাটাক (হামলা) করতে শুরু করে দিল। চার জনের হাতেই পিস্তল ছিল। খদ্দের সেজে প্রথম দু’জন ঢুকেছিল। বলছিল, চুপ করে থাকতে, না হলে মেরে দেবে। ডিসপ্লেতে (দোকানে প্রদর্শনের জন্য রাখা) যত মালপত্র ছিল সব নিয়ে গিয়েছে। দাদা প্রোটেস্ট (প্রতিবাদ) করেছিল বলে দাদাকে মেরেছে। রক্ত ঝরছে। এখনও ভয় লাগছে।’’
প্রসঙ্গত, গত রবিবার পশ্চিম বর্ধমানের রানিগঞ্জে একটি সোনার দোকানে ডাকাতির ঘটনা ঘটে। সাত ডাকাত মিলে অস্ত্র দেখিয়ে ওই দোকান থেকে সর্বস্ব লুট করে পালায়। দোকান থেকে বেরোনোর সময় এক পুলিশ আধিকারিকের মুখোমুখি পড়ে যায় ডাকাতেরা। ওই পুলিশ আধিকারিকের ছোড়া গুলিতে আহত হয় এক ডাকাত। বাকিরা জখম সঙ্গীকে নিয়ে চম্পট দেয় রানিগঞ্জ শহরের মধ্যে দিয়ে। পরবর্তী সময়ে অবশ্য ওই ডাকাতদলের দু’জনকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয় পুলিশ। ধৃতদের জেরা করে বাকিদের খোঁজে চলছে তল্লাশি। এই ঘটনার রেশ কাটতে না কাটতেই এ বার হাওড়ার ডোমজুড়ে সোনার দোকানে কার্যত একই কায়দায় ডাকাতির ঘটনা ঘটে গেল।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy