Advertisement
E-Paper

অভিযোগে ধর্ষণের উল্লেখ নেই, দাবি পুলিশ সুপারের, বামেরা তুলছে ‘চাপ দিয়ে বয়ান বদলের চেষ্টা’-র তত্ত্ব

হুগলি গ্রামীণ পুলিশ জেলার সুপার আগেই স্পষ্ট করে দিয়েছেন, অভিযোগপত্রে বা নির্যাতিতার বয়ানে কোথাও ধর্ষণের উল্লেখ নেই। এর পরে শনিবার প্রথমে থানা এবং পরে আদালতের সামনে বিক্ষোভ দেখান বাম কর্মীরা।

থানা চত্বরের সামনে বিক্ষোভ বাম কর্মী-সমর্থকদের।

থানা চত্বরের সামনে বিক্ষোভ বাম কর্মী-সমর্থকদের। —নিজস্ব চিত্র।

আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ০৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ১৩:৫৪
Share
Save

হুগলি জেলায় এক স্কুলছাত্রীর শ্লীলতাহানির অভিযোগ ঘিরে প্রতিবাদের সুর চড়াচ্ছে বামেরা। হুগলি গ্রামীণ পুলিশ জেলার সুপার কামনাশিস সেন আগেই জানিয়ে দিয়েছেন, অভিযোগপত্র বা নির্যাতিতার বয়ানে ধর্ষণের উল্লেখ নেই। এর পরে শনিবার বেলা গড়াতেই স্থানীয় থানায় গিয়ে বিক্ষোভ প্রদর্শন শুরু করেন বামেদের ছাত্র-যুব এবং মহিলা সংগঠনের সদস্যেরা। পরিস্থিতি সামলাতে থানার মূল ফটক বন্ধ রাখতে হয় পুলিশকে। থানার লোহার গেটে ধাক্কাধাক্কি শুরু করেন বিক্ষোভকারীরা। রাতের ঘটনা প্রসঙ্গে গোপন জবানবন্দির জন্য শনিবার সকালে নির্যাতিতাকে নিয়ে যাওয়া হয় জেলার এক আদালতে। সেই আদালত চত্বরের সামনে গিয়েও বিক্ষোভ দেখান বাম কর্মী-সমর্থকেরা।

আদালত চত্বরের সামনে আরজি করের ঘটনার প্রতিবাদে সন্দীপ ঘোষের বিরুদ্ধে স্লোগান তুলতে থাকেন তাঁরা। একই সঙ্গে স্লোগান ওঠে, নির্যাতিতার পরিবারের উপর ‘চাপ’ দিয়ে বয়ান বদলানোর চেষ্টার অভিযোগ নিয়েও। বামেদের অভিযোগ, ওই ঘটনায় বয়ান বদলানোর জন্য চাপ দেওয়া হচ্ছে। আদালত চত্বরের সামনে বিক্ষোভ প্রদর্শনের কারণ প্রসঙ্গে সিপিএম কর্মী ঐকতান দাশগুপ্ত বলেন, “কিশোরীকে সংজ্ঞাহীন অবস্থায় পাওয়া গিয়েছিল। তার নিম্নাঙ্গ বিবস্ত্র অবস্থায় ছিল। ইতিমধ্যে পুলিশ তাকে উদ্ধার করে প্রথমে থানায় এবং পরে হাসপাতালে নিয়ে যায়। যত রাত বাড়তে শুরু করল, পুলিশ সুপার (হুগলি গ্রামীণ) থেকে শুরু করে ডিএসপি, পুলিশের বড় বড় কর্তারা হাসপাতালে পৌঁছন। মেয়েটির মায়ের সঙ্গে সেখানে আলাদা করে কী কথা হয়েছে, তা আমরা বলতে পারব না। কিন্তু আমরা জানতে পেরেছি, মেয়েটির মায়ের বয়ানে কোথাও ধর্ষণ শব্দের উল্লেখ নেই। আমরা জানি না, এর পিছনে কী অজ্ঞাত কারণ রয়েছে। আমাদের কাছে খবর এসেছে, পুলিশ মেয়েটিকে বিভিন্ন ভাবে মন্ত্রণা দিচ্ছে যাতে সে বয়ান বদলায়।”

প্রসঙ্গত, হুগলিতে শুক্রবার রাতের ঘটনা প্রসঙ্গে রাজ্য পুলিশের তরফে সমাজমাধ্যমে আগেই সতর্ক করা হয়েছে। নাবালিকা এবং তাঁর পরিবারের গোপনীয়তা যাতে ভঙ্গ না হয়, সে বিষয়ে অনুরোধ জানিয়েছে পুলিশ। একই সঙ্গে কোনও রকম গুজব ছড়ানোর চেষ্টা হলে কড়া পদক্ষেপ করা হবে বলেও সাবধান করেছে পুলিশ। হুগলি গ্রামীণ পুলিশ জেলার সুপার অবশ্য আগেই বলেছেন, “সমাজমাধ্যমে কেউ কেউ দাবি করছেন, এটি ধর্ষণের ঘটনা। কিন্তু আমি স্পষ্ট করে দিতে চাই, অভিযোগপত্র বা নির্যাতিতার বয়ানে ধর্ষণের অভিযোগের কোনও উল্লেখ নেই। শ্লীলতাহানির অভিযোগ রয়েছে।”

বামেদের তরফে শনিবার স্থানীয় থানায় এবং আদালতে বিক্ষোভ প্রদর্শন প্রসঙ্গে, তৃণমূলের আরামবাগ সাংগঠনিক জেলার সভাপতি রামেন্দু সিংহ রায় বলেন, “এই বর্বরোচিত ঘটনা কারা ঘটিয়েছেন, তা ওই নির্যাতিতাই বলতে পারবেন। পুলিশ- প্রশাসন ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে। যাঁরা দোষী, তাঁদের অবশ্যই খুঁজে বার করবে পুলিশ। আমাদের বিশ্বাস রয়েছে পুলিশ- প্রশাসনের উপর। অল্প দিনের মধ্যেই পুলিশ এই ঘটনার সত্যতা উদ্ঘাটন করবে। বিজেপি এবং সিপিএম পশ্চিমবঙ্গ থেকে হারিয়ে গিয়েছে। খড়কুটোর মতো আঁকড়ে ধরে বাঁচতে চাইছে।”

Hooghly POCSO Act

সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:

Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy

এটি একটি প্রিন্ট আর্টিক্‌ল…

  • এমন অনেক খবরই এখন আপনার হাতের মুঠোয়

  • সঙ্গে রোজ পান আনন্দবাজার পত্রিকার নতুন ই-পেপার পড়ার সুযোগ

  • ই-পেপারের খবর এখন শুধুই ছবিতে নয়, টেক্সটেও

প্ল্যান সিলেক্ট করুন

মেয়াদ শেষে নতুন দামে আপনাকে নতুন করে গ্রাহক হতে হবে

Best Value
এক বছরে

৫১৪৮

১৯৯৯

এক বছর পূর্ণ হওয়ার পর আপনাকে আবার সাবস্ক্রিপশন কিনতে হবে। শর্তাবলী প্রযোজ্য।
*মান্থলি প্ল্যান সাপেক্ষে
এক মাসে

৪২৯

১৬৯

এক মাস পূর্ণ হওয়ার পর আপনাকে আবার সাবস্ক্রিপশন কিনতে হবে। শর্তাবলী প্রযোজ্য।