Advertisement
২৩ নভেম্বর ২০২৪
Suicide Note

Hooghly: ‘মিলনের সঙ্গে থাকতে দিল না’, ফেসবুকে লিখে আত্মহত্যার চেষ্টা বালিকার, মৃত্যু প্রেমিকের

ফেসবুকে ‘সুইসাইড নোট’ লিখে আত্মহত্যা করতে গেলেন যুগল। মৃত্যু হল এক বছর বাইশের যুবকের। আশঙ্কাজনক অবস্থায় হাসপাতালে চিকিৎসাধীন নাবালিকা।

সম্পর্ক মেনে না নেওয়ার পরিণতি।

সম্পর্ক মেনে না নেওয়ার পরিণতি। প্রতীকী চিত্র।

নিজস্ব সংবাদদাতা
সিঙ্গুর শেষ আপডেট: ২৯ মে ২০২২ ১৭:০০
Share: Save:

প্রতিবেশী যুবক মিলন বারিকের সঙ্গে অনেক দিনের সম্পর্ক। কিন্তু তাঁকে মেনে নেয়নি নাবালিকার পরিবার। শুরু হয় নাবালিকার বিয়ের তোড়জোড়। কিন্তু প্রেমিকের সঙ্গে সে থাকবেই। বাড়ি থেকে পালিয়েও যায় নাবালিকা। তার পর চরম সিদ্ধান্ত নেয় যুগল। রেললাইন থেকে উদ্ধার হল প্রেমিকের রক্তাক্ত দেহ। আশঙ্কাজনক অবস্থায় উদ্ধার করা হয় নাবালিকাকে। ঘটনাটি ঘটেছে হুগলির সিঙ্গুরের কামারকুণ্ডু এবং বলরামবাটি স্টেশনের মাঝে রেললাইনে।স্থানীয় সূত্রে খবর, শনিবার রাতে রেললাইন থেকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় উদ্ধার করা হয় এক যুবক এবং এক নাবালিকাকে। জিআরপি কর্মীরা তাঁদের উদ্ধার করে প্রথমে সিঙ্গুর গ্রামীণ হাসপাতালে নিয়ে যান। কিন্তু মিলন নামে ওই যুবককে মৃত বলে ঘোষণা করেন চিকিৎসক। অন্য দিকে, ওই নাবালিকার শারীরিক পরিস্থিতির অবনতি হওয়ায় তাঁকে কলকাতায় স্থানান্তরিত করা হয়েছে।

পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, মিলনের বাড়ি হরিপাল সহদেব গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকার বোড়াইপুর শিবতলা এলাকায়। তাঁর সঙ্গে প্রেমের সম্পর্কে গড়ে উঠেছিল পাশের বাড়ির বছর সতেরোর নাবালিকার।

গত বৃহস্পতিবার বাড়ির অমতেই মিলনের হাত ধরে বেরিয়ে যায় ওই নাবালিকা। দু’জনে বিয়ে করেছে বলে পরিবারকে জানায়। এর পর নাবালিকার পরিবারের তরফ থেকে হরিপাল থানায় লিখিত অভিযোগ করা হয়।

এর পর মিলনের বাবাকে পুলিশ ডেকে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করে। বার বার ফোন করে বাড়ি ফিরে আসতে বলা হয় দু’জনকে। চাপে পড়ে দু’জনেই যে যার বাড়ি ফিরে আসছে বলে জানায় তাদের পরিবারকে। কিন্তু শনিবার রাত ১০টার পর দু’জনের ফোনই বন্ধ হয়ে যায়। রাতেই দু’জনকে রেললাইন থেকে উদ্ধর করেন রেলকর্মীরা।

ওই নাবালিকার ফেসবুকের ‘স্টোরি’তে দেখা যায় একটি সুইসাইড নোট। সেখানে নিজের পরিবারের উদ্দেশে সে লেখে, মিলনের সঙ্গে তাকে থাকতে দিল না কেউ। বাধ্য হয়ে তারা মৃত্যুর পথ বেছে নিচ্ছে।

মিলনের কাকা বৈদ্যনাথ বারিক বলেন, ‘‘আমার ভাইপো ওই মেয়েটিকে ভালবাসত। ওদের বাড়িতেও যাতায়াত ছিল। মেয়ের মা-বাবাও সব জানত। কিন্তু ওঁরা পুলিশে অভিযোগ জানালে, আমরা ছেলেকে ফিরে আসতে বলি। ও ফিরেও আসবে বলে। তার পর এই ঘটনা ঘটাল। মনে হয়, ভয়েই এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে।’’ ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।

সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে ফলো করুন আমাদের Google News, Twitter এবং Instagram পেজ

অন্য বিষয়গুলি:

Suicide Note Suicide Hooghly
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy