প্রতীকী ছবি।
হাওড়া জেলায় করোনার দৈনিক সংক্রমণের হার ঊর্ধ্বমুখী। এই পরিস্থিতিতে ফের গ্রামীণ হাওড়ায় কোভিড হাসপাতাল চালু করতে উদ্যোগী হয়েছে জেলা স্বাস্থ্য দফতর। প্রস্তাবিত নতুন কোভিড হাসপাতালটি খোলা হবে উলুবেড়িয়ায়। প্রাথমিকভাবে ইএসআই হাসপাতালকেই কোভিড হাসপাতালে পরিণত করার কথা ভাবা হয়েছে বলে জেলা স্বাস্থ্য দফতর সূত্রের খবর। হাওড়া শহরে তিনটি সরকারি কোভিড হাসপাতাল চলছে। সেগুলিতে শয্যা সংখ্যা বাড়ানো হয়েছে। কিন্তু আক্রান্তের হার বাড়তে থাকায় তিনটি হাসপাতালে আর সামাল দেওয়া যাচ্ছে না। তার ফলে উলুবেড়িয়ায় নতুন করে কোভিড হাসপাতাল চালু করার পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে বলে জেলা স্বাস্থ্য দফতরের এক কর্তা জানান।
পরিসংখ্যান অনুযায়ী, ১৪ এপ্রিল জেলায় দৈনিক সংক্রমণ ৩০০ পার করে। ওই দিন সংক্রমিতের সংখ্যা ছিল ৩৩০। মৃত্যুও হয় একজনের। ওই দিন পর্যন্ত মোট সক্রিয় রোগীর সংখ্যা ছিল ২২১৫ জন।
প্রথম পর্যায়ের কোভিড ঢেউ সামলাতে উলুবেড়িয়ায় দু’টি কোভিড হাসপাতাল চালু করা হয়েছিল। একটি ফুলেশ্বরে। সেটি বেসরকারি। সরকার ওই হাসপাতালের সাথে চুক্তির ভিত্তিতে কোভিড হাসপাতাল চালু করে। অন্যটি ছিল ইএসআই হাসপাতাল।
পরিস্থিতির উন্নতি হওয়ায় দু’টি হাসপাতালকেই কোভিডমুক্ত করে দেওয়া হয়। দ্বিতীয় পর্যায়ে অবশ্য বেসরকারি কোনও হাসপাতালকে আর কোভিড হাসপাতাল করা হবে না বলে জেলা স্বাস্থ্য দফতর সূত্রের খবর। জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক ভবানী দাস বলেন, ‘‘স্বাস্থ্য ভবন থেকে উলুবেড়িয়ায় নতুন কোভিড হাসপাতাল করতে বলা হয়েছে। তবে বেসরকারি কোনও হাসপাতালকে নেওয়ার কথা স্বাস্থ্যভবন বলেনি।’’
প্রথমে ঠিক হয়েছিল উলুবেড়িয়া সুপার স্পেশ্যালিটি হাসপাতালকেই কোভিড হাসপাতাল করা হবে। পরে সবদিক বিবেচনা করে জেলা স্বাস্থ্য দফতর পিছিয়ে আসে। কারণ, উলুবেড়িয়া সুপার স্পেশ্যালিটি হাসপাতালকে কোভিড হাসপাতালে পরিণত করা হলে বিপুল সংখ্যক রোগী অন্য রোগের চিকিৎসা পরিষেবা পাওয়া থেকে বঞ্চিত হবেন। দ্বিতীয়ত, এই হাসপাতালটি রয়েছে শহরের কেন্দ্রে জনবসতির মাঝে। এখানে কোভিড হাসপাতাল করা হলে সাধারণ মানুষের আপত্তির আশঙ্কাও ছিল।
এরপরেই ইএসআই হাসপাতালের কথা ভাবা হয়। জেলা স্বাস্থ্য দফতরের এক কর্তা জানান, প্রস্তাবটি স্বাস্থ্য ভবনেও জানিয়ে দেওয়া হয়েছে। এদিকে ফুলেশ্বরের যে বেসরকারি হাসপাতালটিকে প্রথম পর্যায়ে কোভিড হাসপাতালে পরিণত করা হয়েছিল, স্বাস্থ্য দফতর তাদের বিপুল অঙ্কের টাকা মেটায়নি বলে অভিযোগ। এই বেসরকারি হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের অভিযোগ, কিছু টাকা স্বাস্থ্য দফতর দিলেও বেশিরভাগই বকেয়া পড়ে আছে। ফলে তাঁরা পাওনাদারদের টাকা মেটাতে পারছেন না। জেলা স্বাস্থ্য দফতরের বক্তব্য, বিষয়টি স্বাস্থ্যভবন দেখছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy