ডানকুনি থানার পক্ষ থেকে করোনাবিধি মেনে চলায় জন্য প্রচার।
পর্যাপ্ত ভ্যাকসিন না-মেলায় হুগলির পরিস্থিতি ক্রমে জটিল হচ্ছে। বুধবার উত্তরপাড়া স্টেট জেনারেল হাসপাতালে বিক্ষোভও হল।
করোনা লাফিয়ে বাড়ছে এই জেলায়। ফলে, ভ্যাকসিনের চাহিদাও কয়েক গুণ বেড়ে গিয়েছে। কিন্তু যত দিন যাচ্ছে, ভ্যাকসিনের অভাব তত প্রকট হচ্ছে।
মঙ্গলবার ভ্যাকসিন মেলেনি এই জেলার পোলবা-দাদপুর প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে। সেখানে নোটিস টাঙিয়ে জানিয়ে দেওয়া হয়, ভ্যাকসিন বাড়ন্ত। চুঁচুড়া পুরসভার স্বাস্থ্যকেন্দ্রের ভাঁড়ারও ফাঁকা হয়ে যায়। বুধবার দেখা গেল, উত্তরপাড়া স্টেট জেনারেল হাসপাতাল এবং শ্রীরামপুর ওয়ালশ হাসপাতালে টিকার প্রথম ডোজ় দেওয়া হল না। সুপার স্পেশালিটি হাসপাতাল ছাড়া আরামবাগ মহকুমার বাকি ১২টি টিকাকরণ কেন্দ্র বন্ধ রইল।
জেলা স্বাস্থ্য দফতর অবশ্য ভ্যাকসিনের অপ্রতুলতার কথা এ দিনও মানতে চাননি। দফতরের এক কর্তা বলেন, ‘‘ভ্যা কসিন মজুতের বিষয়টি রাজ্যে র সংশ্লিষ্ট বিভাগের কর্তারা বলতে পারবেন। তবে আমরা বুধবারও জেলার বিভিন্ন হাসপাতালে ভ্যা কসিনের দ্বিতীয় ডোজ় দেওয়া হয়েছে।’’
জেলা স্বাস্থ্য দফতর সূত্রের খবর, উত্তরপাড়া স্টেট জেনারেল প্রতিদিন গড়ে ৫০০ জনকে ভ্যা কসিন দেওয়া হচ্ছিল। এ দিনও ভ্যাকসিন নিতে ভিড় হয়। কিন্তু গোলমালের আশঙ্কায় ‘ভ্যাকসিন নেই’ বলে হাসপাতালে নোটিস লটকে দেন কর্তৃপক্ষ। তখনই দু’পক্ষের বাগ্-বিতণ্ডা থেকে বিক্ষোভ শুরু হয়ে যায়।
উত্তরপাড়া পুরসভা পরিচালিত মহামায়া হাসপাতালেও ভ্যাকসিনের সমস্যা ছিল। হাসপাতালের দায়িত্বে থাকা বিদায়ী কাউন্সিলর সুব্রত মুখোপাধ্যায় বলেন, উত্তরপাড়া স্টেট জেনারেলে এ দিন ভ্যাকসিন দেওয়া হয়েছে। মহামায়ায় ভ্যাকসিন ছিল না। তাই এখানে যাঁদের এ দিন দ্বিতীয় ডোজ় নেওয়ার কথা ছিল, তাঁরা পেয়েছেন স্টেট জেনারেল থেকে। যাঁরা ওখানে প্রথম জোড়
নিতে গিয়েছিলেন, তাঁদেরই ফিরিয়ে দেওয়া হয়।’’
একই পরিস্থিতি হয় শ্রীরামপুর ওয়ালশেও। হাসপাতাল সূত্রে জানানো হয়, বড় কোনও সমস্যা হয়নি। মানুষকে বুঝিয়ে বলাতে তাঁরা ফিরে যান। আরামবাগ মহকুমা সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে এ দিন শুধু দ্বিতীয় ডোজ় দেওয়া হয়। যাঁরা প্রথম টিকা নিতে এসেছিলেন, তাঁদের ফিরিয়ে দেওয়া হয়।
আরামবাগ মহকুমা স্বাস্থ্য আধিকারিক অপূর্ব বিশ্বাস জানান, ভ্যাকসিন সরবরাহ করা হয়নি। তাই যে সব সরকারি স্বাস্থ্যকেন্দ্র, পুরসভার কেন্দ্র এবং নার্সিংহোমে ভ্যাকসিন দেওয়া হচ্ছিল, এ দিন থেকে সেগুলি আপাতত বন্ধ রাখা হয়েছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy