প্রতীকী ছবি।
করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ে উত্তরোত্তর বাড়ছে সংক্রমিতের সংখ্যা। তত বেআব্রু হচ্ছে সংক্রমণ মোকাবিলায় সরকারি পরিকাঠামোর অবস্থা। পরিস্থিতি মোকাবিলায় হুগলি জেলা প্রশাসনের তরফে হোয়াটসঅ্যাপ হেল্পলাইন পরিষেবা চালু করা হল।
বৃহস্পতিবার রাতে করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা গেলেন উত্তরপাড়ার বছর পঁয়ত্রিশের এক শিক্ষিকা। তাঁর পরিবারের অভিযোগ, কলকাতার হাসপাতালে শয্যা না-পেয়ে তাঁকে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল উত্তর ২৪ পরগনার একটি বেসরকারি হাসপাতালে। সেখানেই মারা যান তিনি।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, মাখলার একটি ইংরেজি মাধ্যম স্কুলের ওই শিক্ষিকা জটিল স্নায়ুরোগে আক্রান্ত ছিলেন। তিনি সম্প্রতি আইসিএসসি-র প্র্যাকটিকাল পরীক্ষা নিতে শ্রীরামপুরের একটি স্কুলে গিয়েছিলেন। গত এক সপ্তাহ ধরে তিনি জ্বর-সর্দিতে ভুগছিলেন। বৃহস্পতিবার রাতে তাঁর শারীরিক অবস্থার অবনতি হওয়ায় তাঁকে কলকাতার একটি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। কিন্তু কোনও শয্যা মেলেনি বলে তাঁর পরিবারের অভিযোগ। এরপরে তাঁকে নিয়ে যাওয়া হয় উত্তর ২৪ পরগনার একটি বেসরকারি হাসপাতালে। শুক্রবার ভোররাতে তিনি মারা যান। শুক্রবার সকালে শ্রীরামপুর শহরে করোনায় মৃত্যু হয়েছে এক বৃদ্ধেরও।
সংক্রমণ বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে কোভিড হাসপাতালগুলিতে শয্যা সঙ্কট দেখা দিচ্ছে। স্বাস্থ্য দফতরের তরফে পরিস্থিতি মোকাবিলার জন্য বারবার জেলা প্রশাসন এবং বিভিন্ন হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের সঙ্গে বৈঠক চলছে। হুগলি জেলা প্রশাসনের তরফে জানানো হয়েছে +৯১-৮১০০১০৬০৪৬ — এই হোয়াটসঅ্যাপ নম্বরে ‘হেল্প’ লিখে পাঠালে কোভিড হাসপাতালে ভর্তির ফোন নম্বর থেকে টেলি-মেডিসিনের সহায়তা, জেলার চারটি মহকুমার হেল্পলাইন ফোন নম্বর প্রভৃতি পাঠিয়ে দেওয়া হচ্ছে। শুক্রবার হুগলি জেলায় অ্যাক্টিভ করোনা সংক্রমিতের সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ১৬৮৩ জন। বৃহস্পতিবার থেকে এই সংখ্যা ১৩৮ জন বেশি। এ দিন দৈনিক সংক্রমিত ২৯৪ জন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy