Advertisement
১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪
Howrah Police

হাওড়ায় পুলিশকর্মী ও আধিকারিকদের সমাজমাধ্যমের তথ্য জমার নির্দেশে বিতর্ক

পুলিশ সূত্রের খবর, গত মঙ্গলবার এসিপি (গোয়েন্দা বিভাগ)-এর থেকে একটি ইমেল পৌঁছয় হাওড়া পুলিশ কমিশনারেটের সমস্ত থানার ওসি, ট্র্যাফিক গার্ডের ওসি, কন্ট্রোল রুম-সহ সব পুলিশকর্তার কাছে।

—প্রতীকী চিত্র।

দেবাশিস দাশ
হাওড়া শেষ আপডেট: ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ০৮:২৯
Share: Save:

সমাজমাধ্যমে আর জি কর-কাণ্ড নিয়ে নানা বিভ্রান্তিকর খবর ছড়াচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে নানা মহল থেকে। তার পরেই সমাজমাধ্যমে পুলিশকর্মীদের নিজস্ব অ্যাকাউন্টের বিশদ তথ্য অবিলম্বে গোয়েন্দা দফতরে জমা দেওয়ার নির্দেশ দিল‌ হাওড়া পুলিশ কমিশনারেট। এই নির্দেশ ঘিরে তোলপাড় পড়ে গিয়েছে নিচুতলার পুলিশকর্মীদের মধ্যে। অনেকেই প্রশ্ন তুলেছেন, এ বার থেকে কি তাঁদের ব্যক্তিগত বিষয়ের উপরেও নজরদারি করা হবে? এমন নির্দেশের কারণ কী? হাওড়া পুলিশ কমিশনারেটের কর্তাদের অবশ্য দাবি, বাস্তব পরিস্থিতির নিরিখে এই নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। অন্য কোনও উদ্দেশ্য নেই।

পুলিশ সূত্রের খবর, গত মঙ্গলবার এসিপি (গোয়েন্দা বিভাগ)-এর থেকে একটি ইমেল পৌঁছয় হাওড়া পুলিশ কমিশনারেটের সমস্ত থানার ওসি, ট্র্যাফিক গার্ডের ওসি, কন্ট্রোল রুম-সহ সব পুলিশকর্তার কাছে। সেই ইমেলে জানানো হয়েছে, নগরপালের নির্দেশ অনুযায়ী, প্রত্যেক পুলিশ আধিকারিক ও কর্মীকে নিজস্ব সমাজমাধ্যম অ্যাকাউন্টের বিশদ তথ্য জানাতে হবে। সেই সঙ্গে বিভিন্ন সমাজমাধ্যমে পুলিশকর্মীদের প্রোফাইল পেজের লিঙ্ক-সহ ওই সব অ্যাকাউন্টে কত বন্ধু ও অন‌ুগামী আছেন, তা-ও বিশদে উল্লেখ করতে বলা হয়েছে। শুধু তা-ই নয়, এই সমস্ত তথ্য আজ, বৃহস্পতিবার সকাল ১০টার মধ্যে এসিপি (গোয়েন্দা বিভাগ)-কে মেল করতে নির্দেশ এসেছে। কিন্তু এত দ্রুত কেন সকলের প্রোফাইল, পেজ লিঙ্ক জমা দিতে বলা হচ্ছে, তা কোনও পুলিশকর্মী বুঝে উঠতে পারছেন না বলে সূত্রের খবর। প্রকাশ্যে কেউ মুখ না খুললেও দফতরের এই নির্দেশকে কার্যত তুঘলকি আচরণ বলে মনে করছেন অনেকেই। সূত্রের খবর, তাঁদের অনেকেই ইমেলের জবাব দেবেন না বলে সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।

পুলিশ সূত্রের খবর, ইমেলে এই তথ্য জমা দেওয়ার জন্য যে ফর্মটি দেওয়া হয়েছে, তাতে সমাজমাধ্যমগুলির মধ্যে ফেসবুক, ইনস্টাগ্রাম, এক্স হ্যান্ডল ও ইউটিউবের উল্লেখ রয়েছে। এক পুলিশকর্মী বলেন, ‘‘এই অ্যাকাউন্টগুলি সকলে ব্যক্তিগত প্রয়োজনে খোলেন। এ সব তথ্য কেন বিভাগে জমা দিতে হবে, তা বুঝতে পারছি না। এই নিয়ে নিচুতলার সকলেই ক্ষুব্ধ।’’ পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, এই নির্দেশ ন‌িয়ে বিভিন্ন থানার পুলিশকর্মীদের মধ্যে সমালোচনার ঝড় উঠেছে। অনেকেরই অভিযোগ, এই নির্দেশ ব্যক্তিস্বাধীনতার পরিপন্থী।

যদিও এই বিষয়ে হাওড়া সিটি পুলিশের এক পদস্থ কর্তা বলেন, ‘‘বিভিন্ন পুলিশকর্মীর কাছে সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে দফতরের বিভিন্ন অনুষ্ঠান, কর্মসূচি ও বক্তব্য পৌঁছে দেওয়ার জন্য তথ্য চাওয়া হয়েছে। এর পিছনে অন্য কোনও কারণ নেই।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement

Share this article

CLOSE