বেতনের দাবিতে হুগলি-চুঁচুড়া পুরসভার অস্থায়ী কর্মীদের বিক্ষোভ পুরসভায়। সোমবার চুঁচুড়ায়। — নিজস্ব চিত্র।
মাস শেষেও গত জুনের বেতন পাননি হুগলি-চুঁচুড়া পুরসভার প্রায় ৮০০ অস্থায়ী কর্মী। তার প্রতিবাদে সোমবার দুপুর থেকে প্রায় চার ঘণ্টা পুরসভার সামনে বিক্ষোভ দেখালেন তাঁরা। তৃণমূল শ্রমিক সংগঠনের নেতৃত্বে ওই ঘেরাও কর্মসূচিতে আটকে পড়লেন পুর কর্তৃপক্ষ। পরে পুর কর্তৃপক্ষ বৈঠকে বসে জুন ও জুলাইয়ের বেতন আগামী ২০ অগস্টের দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিলে বিক্ষোভ থামে।
পুরপ্রধান অমিত রায় বলেন, ‘‘অতিরিক্ত শ্রমিক সংখ্যা একটা বড় সমস্যা। তবে, আগে যাঁদের কাজে নেওয়া হয়েছে তাঁদের তো আর বের করে দেওয়া যায় না। মজুরি সমস্যা মেটানোর ব্যাপারে আমরা চেষ্টা চালাচ্ছি।’’
হুগলি-চুঁচুড়া পুর মজদুর ইউনিয়নের সহ-সভাপতি অসীম অধিকারী বলেন, ‘‘আপাতত অগস্টেই দু’মাসের মজুরি দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন কর্তৃপক্ষ। তাই আপাতত বিক্ষোভ থামল। প্রতিশ্রুতি না মানা হলে পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।’’
পুরসভা সূত্রে খবর, ২২০০-র বেশি অস্থায়ী কর্মী রয়েছেন এখানে। তাঁদের ন্যূনতম রোজ ২৭০ টাকা। এঁদের মধ্যে প্রায় ৬০০ জনের মজুরি রাজ্য পুর উন্নয়ন সংস্থা (সুডা) দিয়ে থাকে। অর্থাৎ প্রায় ১৬০০ জনের মাসিক ভাতার জন্য বিপুল পরিমাণ অর্থ বইতে হয় পুরসভাকেই। সঙ্গে রয়েছে পেনশন। সুডার টাকা ধরে পুরসভা মাসিক মজুরি ও পেনশনের জন্য ব্যয় করে ২ কোটি ৬০ লক্ষ টাকা। অথচ পুরসভার মাসিক আয় মাত্র ৭০ লক্ষ টাকার মতো। মিউটেশন বাবদ অতিরিক্ত আয় হলে সেই টাকা দিয়েই ঘাটতি মেটানোর চেষ্টা করা হয় বলে পুরসভা সূত্রে খবর।
শ্রমিক কতটা অতিরিক্ত তা অ্যাম্বুল্যান্স চালকদের কথাতেই স্পষ্ট। এ দিনের বিক্ষুব্ধ এক চালকের কথায়, ‘‘পুরসভার মোট চারটি অ্যাম্বুল্যান্স ও একটি শববাহী গাড়ি রয়েছে। এই পাঁচটি গাড়ির জন্য চালক সংখ্যা ৩৫ জন।’’
বিরোধীদের অভিযোগ, তৃণমূল পুর-প্রতিনিধিদের অতিরিক্ত নিয়োগের ফলেই এই সঙ্কট। গত মার্চে বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার দিল্লির একটি সাংবাদিক বৈঠক থেকে চুঁচুড়া পুরসভার নিয়োগ নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিলেন। তাঁর অভিযোগ ছিল, ৪ নম্বর ওয়ার্ডের পুর-প্ররতিনিধি সরস্বতী পাল পরিবারের প্রায় সকলকেই পুরসভার অস্থায়ী শ্রমিক হিসেবে নিয়োগ করেছেন। অভিযোগ কিছুটা মেনে নিয়েছিলেন সরস্বতীও।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy