চুঁচুড়ার তেওয়ারিপাড়ায় ছড়িয়ে পড়ে রয়েছে জিনিসপত্র।
এক বৃদ্ধ দম্পতিকে বন্দুক দেখিয়ে, হাত বেঁধে, মুখে সেলোটেপ আটকে গত শনিবার হুগলির ব্যান্ডেলে তাঁদের বাড়ি থেকে টাকা-গয়না ডাকাতি করে পালায় চার দুষ্কৃতী। ওই ঘটনার কিনারা মঙ্গলবার রাত পর্যন্ত করতে পারেনি চুঁচুড়া থানার পুলিশ। তার মধ্যেই সোমবার রাতে চুঁচুড়ার দু’টি ফাঁকা বাড়িতে চুরির ঘটনা ঘটেছে। অন্য একটি বাড়ি থেকে মোটরবাইক চুরি গিয়েছে। কোনও ক্ষেত্রেই মঙ্গলবার রাত পর্যন্ত দুষ্কৃতীরা ধরা পড়েনি। চুরির যাওয়া জিনিসও উদ্ধার হয়নি।
দুষ্কৃতীদের বাড়বাড়ন্তে শহরবাসী আতঙ্কিত। তাঁরা চান, অবিলম্বে দুষ্কৃতীদের গ্রেফতার এবং খোওয়া জিনিসপত্র উদ্ধার করুক পুলিশ। শীতে একটু রাত গড়ালেই বিভিন্ন এলাকা নির্জন হয়ে যায়। দুষ্কর্ম ঠেকাতে এই সব এলাকায় পুলিশি টহল বাড়ানোর দাবি উঠছে। চন্দননগর পুলিশ কমিশনারেটের এক কর্তা বলেন, ‘‘প্রতিটি ঘটনারই কিনারা করার চেষ্টা চলছে। ঘটনাস্থল বা আশপাশে সিসি ক্যামেরার ফুটেজ দেখে দুষ্কৃতীদের গ্রেফতারের চেষ্টা করা হচ্ছে। কয়েক জনকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। টহলদারি বাড়ানোর বিষয়টি ভাবা হচ্ছে।’’
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, সোমবার রাতে ওলাইচণ্ডীতলার বাসিন্দা সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায় কাজ থেকে ফিরে বাড়ির ভিতরে তাঁর মোটরবাইকটি রাখেন। কিছুক্ষণ পরেই আওয়াজ শুনে বেরিয়ে দেখেন, দরজা খোলা। বাইক উধাও। সাহাগঞ্জের কাঁসারিপাড়ায় একটি ফাঁকা দোতলা বাড়িতে দুষ্কৃতীরা হানা দেয়। বাড়ির মালিক কলকাতায় থাকেন। একতলায় ভাড়াটিয়া থাকতেন। সম্প্রতি ভাড়াটিয়া উঠে যাওয়ায় বাড়ি ফাঁকা ছিল। মঙ্গলবার সকালে পড়শিদের নজরে আসে, বাড়ির দরজার তালা, কোলাপসিবল গেট খোলা। তাঁরা বাড়ির মালিককে ফোনে বিষয়টি জানান। পুলিশ এসে একতলা ও দোতলার ঘর খতিয়ে দেখে। দেখা যায়, জিনিসপত্র লণ্ডভণ্ড। তবে, কিছু খোওয়া গিয়েছে কি না, গেলে কী গিয়েছে, জানা যায়নি।
তেওয়ারিপাড়ায় একটি বাড়িতে দরজার তালা ভেঙে জিনিসপত্র হাতিয়ে নেয় দুষ্কৃতীরা। বাড়ির মালিক সনৎ সাহা পরিবারের সঙ্গে গত শনিবার দিল্লিতে ছেলের কাছে বেড়াতে যান। মঙ্গলবার সকালে স্থানীয় বাসিন্দারা দেখেন, দরজার তালা ভাঙা। তাঁরা সনৎবাবুর দাদাকে খবর দেন। তিনি এসে দেখেন, একতলার দু’টি ঘরে জিনিসপত্র লণ্ডভণ্ড। দোতলার তিনটি ঘরে আলমারি ভাঙা। কাগজপত্র ছড়িয়েছিটিয়ে রয়েছে। পুলিশ তদন্তে আসে। ঘটনাস্থল থেকে তদন্তকারীরা একটি শাবল, ভাঙা তালা উদ্ধার করে নিয়ে যায়। বাড়িমালিকের দাদার দাবি, আলমারি থেকে সোনার গয়না, নগদ টাকা, দরকারি নথি, জামাকাপড় দুষ্কৃতীরা নিয়ে গিয়েছে। ইনভার্টার, মাইক্রোওভেনও নিয়ে গিয়েছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy