n হাওড়া তারকেশ্বর রেল লাইনের উপর অসমাপ্ত সেতু। ছবি: দীপঙ্কর দে।
একই রাস্তা। অথচ, তার দু’প্রান্তে দু’রকম ছবি।
এক প্রান্ত সাজানো-গোছানো, ঝকঝকে। অন্যপ্রান্তে সৌন্দর্যায়ন তো কোন ছাড়, নোংরা, আবর্জনায় ভর্তি।
রাজ্য সরকারের উদ্যোগে হুগলিতে ডানকুনি থেকে পান্ডুয়া পর্যন্ত (৫০ কিলোমিটার) দীর্ঘ দিল্লি রোডের খোলনলচে বদলেছে। দুই লেন সম্প্রসারিত হয়েছে চার লেনে। বেড়েছে গাড়ির গতি। তবে, ডানকুনি থেকে চন্দননগর পর্যন্ত রাস্তার কাজ নিয়ে অভিযোগ ওঠা থামেনি।
অথচ, চন্দননগর থেকে পান্ডুয়া পর্যন্ত ওই রাস্তা ঝাঁ-চকচকে। রাস্তার মাঝে সারিবদ্ধ ফুলের গাছ চোখের আরাম দেয়। কিন্তু অভিযোগ, ডানকুনি থেকে চন্দননগর পর্যন্ত রাস্তার রূপ ফেরেনি। রাস্তার মাঝে মাঝে আর্বজনায় ভর্তি। সব ক্ষেত্রে রাস্তার কাজও শেষ করা হয়নি। রাস্তার মাঝে ফুলের গাছও লাগানো হয়নি। রাস্তার মান নিয়েও নানা প্রশ্ন রয়েছে। গাড়ি-চালকদের বক্তব্য, একই রাস্তার দু’টি অংশের মধ্যে বিস্তর ফারাক।
হুগলিতে যোগাযোগ ব্যবস্থায় গুরুত্বপূর্ণ ওই রাস্তা সম্প্রসারণ ও সৌন্দর্যায়নের কাজ কয়েক বছর আগে শুরু হয়। ডানকুনি থেকে চন্দননগর এবং চন্দননগর থেকে পান্ডুয়া— দুই অংশে কাজের আলাদা বরাত দেওয়া হয়। দুই অংশের কাজ একই সঙ্গে শুরু হয়। চন্দননগর থেকে পান্ডুয়া পর্যন্ত অংশের কাজ নির্দিষ্ট সময়েই শেষ হয়। সেখানে কাজের মান নিয়ে প্রশ্ন ওঠেনি।
ডানকুনি থেকে চন্দননগর পর্যন্ত কাজ নিয়ে অবশ্য গোড়া থেকেই নানা সমস্যা দেখা দেয়। যে ঠিকাদারি সংস্থা প্রথমে দায়িত্বে ছিল, এক সময় তারা কাজ বন্ধ রেখে চলে যায়। এরপর রাজ্য সরকারের তরফে অন্য ঠিকাদারকে বরাত দেওয়া হয়। সব মিলিয়ে কাজ বিলম্বিত হয়। কোনও কোনও জায়গায় কাজ এখনও অসমাপ্ত।
সমস্যা যে রয়েছে, অস্বীকার করেননি জেলা পরিষদের পূর্ত কর্মাধ্যক্ষ সুবীর মুখোপাধ্যায়। তিনি বলেন, ‘‘রাস্তাটি রাজ্য পূর্ত দফতরের হাইওয়ে বিভাগ করছে। ডানকুনি থেকে চন্দননগর পর্যন্ত অংশে কিছু সমস্যা আছে। কিছু কাজ অসমাপ্ত থেকে গিয়েছে। স্থানীয় বাসিন্দাদের আরও কিছু দাবি আছে। সব মিলিয়ে এই অংশের কাজে কিছু প্রশ্ন রয়েছে। বিষয়টি সংশ্লিষ্ট সরকারি দফতরে জানানো হয়েছে। আশা করছি, সমাধান হয়ে যাবে।’’
ডানকুনি থেকে চন্দননগর অংশের কাজের মান ভাল হল না কেন? এই অংশের কাজের দায়িত্বে থাকা রাজ্য পূর্ত দফতরের হাইওয়ে ডিভিশনের এক বাস্তুকার বলেন, ‘‘কাজ শুরু হতেই স্থানীয়দের তরফে একাধিক আন্ডারপাস তৈরি-সহ বিভিন্ন দাবি ওঠে। আন্ডারপাসের কাজ এখনও শেষ হয়নি। বৈদ্যবাটীতে রেললাইনের উপরে নতুন সেতু জোড়ার কাজ রেল এখনও করেনি। যদিও রাজ্যের অংশের কাজ বহু আগেই হয়ে গিয়েছে। তবে পুরো কাজ শেষ হলে মান নিয়ে যে প্রশ্ন রয়েছে, তা থাকবে না।’’
আশ্বাস কতটা বাস্তবে প্রতিফলিত হয়, সেটাই দেখার।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy